রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহকে পশ্চিমাদের নীল নকশা হিসেবেই দেখছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো।
অপরদিকে ন্যাটো জানিয়েছে, রাশিয়া ও বেলারুশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বেলারুশে ওয়াগনার সেনাদের স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনায় তারা চিন্তিত এবং নিজেদের রক্ষায় যে কোনো পদক্ষেপ নিতে ন্যাটো প্রস্তুত।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন দলবল নিয়ে বেলারুশে অবস্থান করছেন। তাদের একটি স্থানে তাবু করে থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এখানে পরবর্তী পদক্ষেপ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তারা পর্যাপ্ত সময় পাবেন।’
বিদ্রোহের কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মস্কো ও মিনস্কের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পশ্চিমাদের আঘাত হানার সুযোগ করে দিতেই রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহ ঘটানোর চেষ্টা হয়েছে।’ তাসের প্রতিবেদনের বরাতে খবর বাসসের।
লুকাশেঙ্কো আরও বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে খারাপ সময় মোকাবিলা করছি। পশ্চিমা কর্মকর্তারা মস্কোতে ওয়াগনারের বিদ্রোহের প্রচেষ্টা থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু হিসেব টানবেন এমনটা নিশ্চিত।’
‘সর্বশেষ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের শান্ত হওয়া এবং এই পৃষ্ঠা উল্টিয়ে ফেলা প্রয়োজন। পরবর্তীতে প্রয়োজন পড়লে আমরা এ বিষয়ে ফিরে আসব। কিন্তু এখন শান্ত থাকার সময়।’
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দুই দেশের জনগণকে পাশে থাকার আহ্বান জানান।
এদিকে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ন্যাটো জোট মস্কো বা মিনস্কের যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষায় প্রস্তুত রয়েছে।
ওয়াগনার প্রধান বেলারুশে পৌঁছানোর খবরের প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার তিনি ওই মন্তব্য করেন।
ন্যাটো প্রধান বলেন, ‘ন্যাটো লিথুনিয়ার সম্মেলনে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে সম্মত হবে। যাতে এ জোটের সব সদস্যদের রক্ষা করা যায়। বিশেষ করে রাশিয়ার মিত্র বেলারুশের সঙ্গে যেসব দেশের সীমান্তে রয়েছে তাদের বিশেষ সুরক্ষার নজরে রাখা হবে।’
স্টলটেনবার্গ বেলারুশে ওয়াগনার বাহিনীর অবস্থান স্থায়ী হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা মস্কো এবং মিনস্কের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছি। ন্যাটো তাদের সব মিত্র দেশ এবং অঞ্চলের প্রতিটি ইঞ্চি মাটি রক্ষায় প্রস্তুত রয়েছে।’