আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে দেশের বয়স গণনা আইনের সমন্বয় করার ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষের বয়স অন্তত এক থেকে দুই বছর কমে গেছে।
শতবর্ষী এক আইনের ফলে জন্মের পরপরই দেশটির নবজাতকদের বয়স এক বছর ধরা হতো। মূলত মায়ের গর্ভে ভ্রুণ হওয়া থেকেই একটি শিশুর জন্মক্ষণ গণনা করা হতো বাতিল করা শতাব্দী প্রাচীন ওই আইনে। আবার জন্মদিনের পরিবর্তে প্রতিবছরের শুরুতেও, অর্থাৎ ১ জানুয়ারি দেশের নাগরিকদের বয়স এক বছর ধরা হতো সদ্য বাতিলকৃত আইনটিতে।
তবে বুধবার থেকে আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী জন্ম তারিখের ওপর ভিত্তি করে বয়স গণনার নতুন আইন বাস্তবায়ন করছে দেশটি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ২০২২ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল বয়স গণনার সনাতন পদ্ধতি পরিবর্তনের জন্য জোরালোভাবে চাপ দিয়ে আসছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘অপ্রচলিত এ গণনা পদ্ধতি দেশে অপ্রয়োজনীয় সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করেছে।’
ওই আইনের ফলে বয়সভিত্তিক বীমার অর্থপ্রাপ্তি ও বিভিন্ন সরকারি সহায়তা কর্মসূচিতে দেশের নাগরিকদের যোগত্যা নিরূপণ নিয়ে অস্পষ্টতার বিষয়টি তুলে ধরেন প্রেসিডেন্ট ইউন।
বয়স গণনার প্রচলিত আইন বাতিলের ওপর স্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান হানকুক রিসার্চ ২০২২ সালের জানুয়ারিতে একটি জরিপ চালায়। জরিপে দেশটির তিন-চতুর্থাংশ নাগরিকই আইন পরিবর্তনের পক্ষে মত দেন। পরে ডিসেম্বরে দেশটির আইনপ্রনেতারা আইন পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দেন।
মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় বয়স গণনার পদ্ধতিটি পূর্ব এশিয়ার আনেক দেশেই প্রচলিত ছিল। তবে বেশিরভাগ দেশই এ পদ্ধতিতে বয়স গণনা থেকে সরে এসেছে। ১৯৫০ সালে জাপান সনাতন পদ্ধতি ছেড়ে আন্তর্জাতিক গণনা পদ্ধতি চালু করে। ১৯৮০ সালে উত্তর কোরিয়াও একই পথে হাঁটে। তাদের ৪৩ বছর পর আন্তর্জাতিক আইনে আসল দক্ষিণ কোরিয়া।