রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পাশাপাশি সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতে ভাড়াটে সেনাগোষ্ঠী ওয়াগনার সদস্যদের তৎপরতাকে সশস্ত্র বিদ্রোহ আখ্যা দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শনিবার বলেছেন, কঠোর হস্তে একে দমন করা হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, চেচেন যুদ্ধের ২০ বছর পর রাশিয়ার প্রথম সশস্ত্র বিদ্রোহে ভারি অস্ত্রে সজ্জিত ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের নেতৃত্বাধীন মিলিশিয়ারা ইউক্রেন সীমান্তবর্তী দশ লক্ষাধিক মানুষের শহর রোস্তভ-অন-ডনের সড়কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।
প্রিগোজিন বলেন, তিনি ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় প্রবেশ করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক জেলার দখল নিয়েছেন।
শহরে ওয়াগনার যোদ্ধাদের সাঁজোয়া যান ও বিশাল ট্যাংকের অবস্থানের মধ্যেই লোকজনকে উদ্দেশ্যহীন ঘোরাঘুরি ও সেলফি তুলতে দেখা যায়।
একটি নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানায়, মস্কো অভিমুখী সড়কের আরও উত্তরে ভোরোনেজ শহরে সামরিক স্থাপনাগুলোর দখল নিয়েছেন ওয়াগনার যোদ্ধারা, তবে সেখানকার পরিস্থিতি স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।
ওয়াগনারের সামরিক তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে মস্কোর সড়কে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রেড স্কয়ারে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে।
এমন বাস্তবতায় টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘অতি উচ্চাভিলাষ ও কায়েমি স্বার্থ বিশ্বাসঘাতকতায় রূপ নিয়েছে। এটা রাশিয়া ও আমাদের জনগণের ওপর আঘাত এবং এ ধরনের হুমকির বিরুদ্ধে পিতৃভূমিকে রক্ষায় আমাদের কর্মকাণ্ড হবে কঠোর।’