থাইল্যান্ড থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে ১৯ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। তারা সবাই কম্বোডিয়া থেকে অবৈধভাবে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছিল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্যাংকক পোস্ট।
বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় সোংখলা প্রদেশ থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের বহনকারী চার থাই গাড়ি চালককেও পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোংখলা প্রদেশের ব্যাং ক্লাম জেলায় পাঁচটি গাড়ি আটকানোর পর ওই ১৯ অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী ও ৪ থাই নাগরিককে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
পুলিশ জানায়, থাইল্যান্ডের সামুত প্রাকান প্রদেশ থেকে সোংখলা প্রদেশ হয়ে একদল অবৈধ অভিবাসীকে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় তারা। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সন্দেহ হলে পাঁচটি গাড়ি ধাওয়া করে পুলিশ। এক পর্যায়ে রাত্তাফুম ও ব্যাং ক্লাম জেলার মধ্যবর্তী এশিয়ান হাইওয়ের একটি স্থানে তাদের থামাতে সক্ষম হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে ২৩ জনকে আটক করে ব্যাং ক্লাম জেলা পুলিশ।
পাঁচটি গাড়ির চালকদের মধ্যে একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বাকি চারজনকে আটক করা হয়। তারা চারজনই থাইল্যান্ডের নাগরিক। গাড়ি চালকদের তিনজন পুরুষ ও একজন নারী।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক বাংলাদেশিরা জানিয়েছে, তাদের সামুত প্রাকান থেকে সোংখলা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য মাথাপিছু ২৫০০ বাথে (থাই মুদ্রা) চুক্তি করে চালকরা। মূলত সোমচাই নামের এক ব্যক্তি ওই অভিবাসীদের পরিবহনে গাড়িগুলো ভাড়া করে।
আটককৃত বাংলাদেশিরা বলেছেন, মালয়েশিয়ায় ভালো চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে দালালরা তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছে। প্রথমে তাদের আকাশপথে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বুধবার সেখান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেন।
অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি প্রক্রিয়া চলমান বলে জানিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ।