বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টাইটানের আরোহীদের মরদেহ পাওয়ার সম্ভাবনা কম

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৩ জুন, ২০২৩ ১১:২৪

আলটান্টিক মহাসাগরের তলদেশে ওই পাঁচজনকে বহন করে নিয়ে যাওয়া সাবমার্সিবল টাইটান বিস্ফোরিত হয়ে তারা মারা গেছেন। তবে তাদের মরদেহ এখন কী অবস্থায় আছে তা জানে না কেউই।

টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে প্রাণ হারানো পাঁচজনের মরদেহ আরও কখনও পাওয়া যাবে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

আলটান্টিক মহাসাগরের তলদেশে ওই পাঁচজনকে বহন করে নিয়ে যাওয়া সাবমার্সিবল টাইটান বিস্ফোরিত হয়ে তারা মারা গেছেন। তবে তাদের মরদেহ এখন কী অবস্থায় আছে তা জানে না কেউই।

যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড বলেছে, ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে টাইটান। মিলেছে এর ধ্বংসাবশেষও। তবে মরদেহের কোনো খোঁজ নেই। এই মরদেহগুলো হয়তো আরও কোনো দিন সন্ধানও মিলবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাগারের মতে, টাইটান বিস্ফোরণে আরোহীরা মারা গেছেন। এর ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করার আগেই তারদের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, আরোহীরা তাৎক্ষণিক মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন।

গভীর সমুদ্র বিশেষজ্ঞ পল হ্যানকিন বলেছেন, সমুদ্রের নিচে অবিশ্বাস্য এক পরিবেশ। এখন আর আমার কাছে সম্ভাবনাময়ী কোনো একটি উত্তরও নেই।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকালে কানাডার একটি জাহাজ থেকে মোতায়েন করা রোবোটিক ডুবোযান টাইটানিকের ওপরের অংশের ১ হাজার ৬০০ ফুট নিচে টাইটানের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পায়। জায়গাটি উত্তর আটলান্টিকের প্রত্যন্ত কোনায় পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওশানগেট এক্সপেডিশনস পরিচালিত টাইটান কানাডার কাছাকাছি এলাকায় পাঁচ আরোহী নিয়ে রোববার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের উদ্দেশে রওনা হয়। যাত্রার পৌনে ২ ঘণ্টা পর সকালে সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরের সহায়তা জাহাজের সঙ্গে সংযোগ হারায় নৌযানটি।

কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা জানান, ২২ ফুট বা ৬ দশমিক ৭ মিটার দৈর্ঘ্যের টাইটানের পাঁচটি বড় অংশ শনাক্ত করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের সংবাদ সম্মেলনের আগে ওশানগেটের বিবৃতিতে বলা হয়, কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং টাইটানের চালক স্টকটন রাশসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

নৌযানটির অপর চার আরোহী ছিলেন ব্রিটিশ ধনকুবের ও অভিযাত্রী হ্যামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান এবং বিখ্যাত টাইটানিক বিশেষজ্ঞ পল-হেনরি নারজোলেট। তাদের মধ্যে নারজোলেট বেশ কয়েকবার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থাকা এলাকায় গিয়েছিলেন।

১৯১২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করা টাইটানিক এক হিমশৈলির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। ওই সময়ের সবচেয়ে বড় এ জাহাজটিতে থাকা ২ হাজার ২০০ যাত্রীর ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মারা যান। এর অনেক বছর পর ১৯৮৫ সালে আটলান্টিকের তলদেশে ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।

এ বিভাগের আরো খবর