দর্শনার্থী নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে যাওয়া সাবমেরিন টাইটানে থাকা অক্সিজেন শেষ হয়ে গেছে। একই সঙ্গে এখনও সাবমেরিনটির খোঁজ না মেলায় এতে থাকা আরোহীরা বেঁচে আছেন কি না তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।
টাইটানে আরোহীদের জন্য ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন ছিল বলে উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা ও টাইটানের মালিক প্রতিষ্ঠান ওশানগেট জানিয়েছিল, সে হিসেবে এখন আর এই সাবমেরিনে কোনো অক্সিজেন নেই বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
সমুদ্র গবেষক ডেভিড গ্যালোও মনে করছেন, এখন আসলে মিরাকল ছাড়া আর কিছুতেই আশা নেই। হয়তো কোনো অলৌকিক শক্তিই আরোহীদের বাঁচিয়ে আনতে পারে।
এই সাবমেরিন উদ্ধারে চলছে নানা তৎপরতা। তবে এখনও এটির অবস্থানই শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। একজন গবেষক জানিয়েছেন, টাইটান এতোই ছোট যে শব্দের মাধ্যমে অর্থাৎ সোনার পদ্ধতি ব্যবহার করে এটি খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়।
গত ১৮ জুন কানাডার কাছাকাছি এলাকায় সকাল ৮টায় যাত্রা শুরুর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর সাবমেরিনটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে ২১ ফুট দীর্ঘ এই জলযানটির সাধারণত দুই ঘণ্টা সময় লাগে।
১৯১২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করা টাইটানিক এক হিমশৈলির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। ওই সময়ের সবচেয়ে বড় এ জাহাজটিতে থাকা ২ হাজার ২০০ যাত্রীর ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মারা যান।
এর অনেক বছর পর ১৯৮৫ সালে আটলান্টিকের তলদেশে ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।