বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২৪ ঘণ্টা পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ফিরে আসার কথা ছিল টাইটানের

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২২ জুন, ২০২৩ ১৩:৫১

এত উন্নত প্রযুক্তি থাকার পরও নিখোঁজ টাইটান কেন এখনও ফেরেনি তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সময় যত যাচ্ছে, এতে থাকা অক্সিজেনও ফুরিয়ে আসছে। ক্ষীণ হয়ে আসছে টাইটানে থাকা প্রাণ বাঁচার আশাও।

দর্শনার্থী নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে যাওয়া সাবমেরিন টাইটানে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে, যাতে সাগরে নামার ২৪ ঘণ্টা পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই এটি ফিরে আসতে পারে।

তবে এত উন্নত প্রযুক্তি থাকার পরও নিখোঁজ টাইটান কেন এখনও ফেরেনি তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সময় যত যাচ্ছে, এতে থাকা অক্সিজেনও ফুরিয়ে আসছে। ক্ষীণ হয়ে আসছে টাইটানে থাকা প্রাণ বাঁচার আশাও।

টাইটানের মালিক প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ওশানগেটে বিনিয়োগকারী অ্যারন নিউম্যান ২০২১ সালে এই জলযানে করে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখে এসেছেন। তিনি বলেন, টাইটান যেভাবে বানানো হয়েছে, এতে ২৪ ঘণ্টা পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ফিরে আসার কথা।

অ্যারন নিউম্যান বলেন, টাইটানে ভারী ব্যালাস্ট ব্যবহার হয়েছে। এর ফলে পানির নিচে এটির ভারসাম্য ঠিক থাকে। এমনভাবে এতে ব্যালাস্ট ব্যবহার হয়েছে যেন ২৪ ঘণ্টা পর এটি মুক্ত হয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই টাইটান ওপরে উঠে আসতে পারে। ফিরে আসার মতো করেই এটি বানানো হয়েছে।

তিনি জানান, ক্রু সদস্যদের বলা হয় যে, তারা টাইটানে দোলা দিয়ে ব্যালাস্ট ছেড়ে দিতে পারে বা ওজনমুক্ত করতে একটি বায়ুসংক্রান্ত পাম্প ব্যবহার করতে পারে।

তার মতে, যদি অন্য সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়, তবুও ২৪ ঘণ্টা পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমুদ্রের পৃষ্ঠে টাইটানকে ফেরত পাঠানোর জন্য ব্যালাস্ট যাতে এমনিতেই আলাদা হয়ে যায় সেভাবেই এটির ডিজাইন করা হয়েছে।

নিউম্যান বলেন, টাইটানের থ্রাস্টারগুলি একটি বাহ্যিক বৈদ্যুতিক সিস্টেম দ্বারা চালিত হয়, একটি অভ্যন্তরীণ সিস্টেম যোগাযোগ এবং একটি হিটারকে শক্তি দেয় এই পদ্ধতি।

ডিসকভারি চ্যানেলের হোস্ট জোশ গেটস ২০২১ সালে টাইটানে একটি পরীক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, সাবমেরিনটির ওজন কমানোর এবং জরুরি পরিস্থিতিতে এটিকে পৃষ্ঠে ফিরিয়ে আনার জন্য চারটি উপায় রয়েছে।

তার মতে, এগুলো হলো কম্পিউটার-নিয়ন্ত্রিত ওজন কমানো পদ্ধতি, ম্যানুয়াল-ভালভ সিস্টেম যা বহিরাগত ব্যালাস্ট পাত্রে বাতাস প্রবেশ করায়, ওজন কমানোর জন্য হাইড্রোলিক সিস্টেম এবং ডুবোজাহাজের সাথে সংযুক্ত স্লেজ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ক্ষমতা।

এদিকে টাইটানে থাকা আরোহীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমে এসেছে, তবে তা যে একেবারে নেই; তা নয় বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর পারমাণবিক সাবমেরিনের সাবেক কমান্ডার ডেভিড মার্কুয়েট।

যে পরিমাণ অক্সিজেন এই সাবমেরিনে আছে, তাতে পাঁচ আরোহীর সবমিলিয়ে ৯৬ ঘণ্টা বেঁচে থাকার কথা। সে হিসেবে তাদের বৃহস্পতিবারই অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়ার কথা।

গত ১৮ জুন কানাডার কাছাকাছি এলাকায় যাত্রা শুরুর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর সাবমেরিনটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে ২১ ফুট দীর্ঘ এই জলযানটির সাধারণত দুই ঘণ্টা সময় লাগে।

১৯১২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করা টাইটানিক এক হিমশৈলির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। ওই সময়ের সবচেয়ে বড় এ জাহাজটিতে থাকা ২ হাজার ২০০ যাত্রীর ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মারা যান। এর অনেক বছর পর ১৯৮৫ সালে আটলান্টিকের তলদেশে ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।

এ বিভাগের আরো খবর