দর্শনার্থীদের আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে নিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে যাওয়া সাবমেরিন এখনও উদ্ধার করা যায়নি, তবে যে এলাকায় এটি নিখোঁজ হয়েছে সেখান থেকে এক ধরনের বিকট শব্দ আসছে।
কানাডার একটি উদ্ধারকারী দল যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডকে এ তথ্য দিয়েছে বলে বুধবার সিএনএন ও বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সাগরের তলদেশে পানির নিচে যে এলাকা থেকে সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়েছে, সে এলাকাতেই এটি আছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটি কী অবস্থায় আছে তা জানা যাচ্ছে না।
টুইটারে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড বলেছে, একটি কানাডিয়ান পি-থ্রি বিমান তল্লাশি এলাকায় পানির নিচে শব্দ শনাক্ত করেছে। তবে এখন পর্যন্ত সেই অনুসন্ধানকারীরা নেতিবাচক ফলাফল দিয়েছেন।
গত রোববার যাত্রা শুরুর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর সাবমেরিনটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ট্যুর ফার্ম ওশেনগেট বলছে, সাবমেরিনটিতে থাকা পাঁচ আরোহীকে খুঁজতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চলছে।
১৯১২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করা টাইটানিক এক হিমশৈলির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। ওই সময়ের সবচেয়ে বড় এ জাহাজটিতে থাকা ২ হাজার ২০০ যাত্রীর ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মারা যান। এর অনেক বছর পর ১৯৮৫ সালে আটলান্টিকের তলদেশে ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া সাবমেরিন টাইটান সাগরের তলদেশে আট দিনের ভ্রমণের জন্য জনপ্রতি নিয়েছে দুই লাখ ৫০ হাজার ডলার। পানির নিচে এটি চার দিনের অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যিক গভীর সমুদ্র সংস্থাগুলো উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছে।
যুক্তরাষ্ট্র কোস্টগার্ডের রিয়ার অ্যাডএম জন মাগার সংবাদ বলেছেন, ৭০ থেকে ৯৬ ঘন্টার মধ্যে সাবমেরিনটি কোথাও পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তারা।