ভারতের উত্তর সিকিমে গত কয়েক দিন ধরে চলা ভারী বর্ষণে একাধিক পাহাড়ি সড়কে ধস দেখা দিয়েছে। এতে সিকিম ভ্রমণে যাওয়া প্রায় দুই হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশিও।
একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, ভারী বর্ষণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিকিমের মাঙ্গান জেলার লাচুং ও লাচেন এলাকা। ওইসব এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে পর্যটকরা আটকে পড়েছেন।
পাহাড় ধসে বন্ধ রয়েছে গ্যাংটক থেকে উত্তর সিকিমের জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ। ওই এলাকায় আটকে পড়েছেন দুই হাজারের মতো দেশি-বিদেশি পর্যটক। এর মধ্যে ২৩ জন বাংলাদেশি রয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ বৈরী আবহাওয়ায় উত্তর সিকিম জেলার সদর দপ্তর মাঙ্গান থেকে চুংথাং পর্যন্ত রাস্তা আপাতত বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এর ফলে বিভিন্ন জায়গায় আটকা পড়েছে প্রায় ৩৪৫টি গাড়ি ও মোটরবাইক।
বাংলাদেশ ছাড়াও অন্যান্য সেখানে আটকা পড়েছেন ১০ জন মার্কিন ও সিঙ্গাপুরের নাগরিক। তারা সেখাকার বিভিন্ন হোটেলে আপাতত আটকে আছেন।
কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে আসাম রাজ্যে প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে। ভয়াবহ এই বন্যায় অন্তত ১১টি জেলার ৩৪ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, রাজ্যটির মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদ ও আরও কয়েকটি নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
এরই মধ্যে আসামের বিশ্বনাথ, দরং, ধেমাজি, লিখমপুর, ডিব্রুগড়, তামুলপুরসহ ১১টি জেলার রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যার কারণে এসব জেলার ৩৪ হাজার ১৮৯ জন বাসিন্দা ক্ষতির মুখে পড়েছেন, তাদের মধ্যে ১৪ হাজার ৬৭৫ জন নারী ও ৩ হাজার ৭৮৭ জন শিশু।
বন্যাকবলিত জেলাগুলোর মধ্যে লখিপুরের পরিস্থিতি সবচেয়ে নাজুক। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অধিকাংশ মানুষই ব্রহ্মপুত্র নদ-তীরবর্তী এই জেলাটির বাসিন্দা। এখানে বন্যাকবলিত মানুষের সংখ্যা ২৩ হাজার ৫১৬ জন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যে ১১টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে তার আটটি লখিমপুর জেলায়। উদালগুড়িতে আরও দুটি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।