বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কলাম লেখকের চাকরি নিলেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৭ জুন, ২০২৩ ১৬:০৮

বরিস সোমবার সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বিতর্কের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন। বেকার না থেকে তিনি কলাম লেখকের চাকরিই বেছে নিলেন।

যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কলাম লেখকের চাকরি নিয়েছেন। তিনি প্রতি সপ্তাহে ডেইলি মেইল পত্রিকার জন্য একটি কলাম লেখবেন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার বরিস জনসন ও পত্রিকাটির পক্ষ থেকে আলাদাভাবে এ ঘোষণা আসে।

ওই দিন বিকেলেই তার একটি কলাম পত্রিকাটির অনলাইনে প্রকাশ করা হয়।

যুক্তরাজ্যের সাংবাদিকতার জগতে ডেইলি মেইল বরিস জনসনের কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তার পক্ষে অবস্থান নেয় পত্রিকাটি। ওই সময় বরিসের সমর্থনে বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করে ডেইলি মেইল।

তবে বরিস জনসনের চাকরিতে যোগদানকে সংসদীয় আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলছে পার্লামেন্টের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

কারণ হিসেবে বলা হয়, সংবাদটি দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার মাত্র আধঘণ্টা আগে তিনি কমিটিকে জানান।

বরিস সোমবার সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বিতর্কের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের আচরণবিধি অনুযায়ী বরিস নতুন চাকরিতে যোগদানে এখনও সংশ্লিষ্ট কমিটির অনুমোদন নিতে বিধিবদ্ধ।

বিধি অনুযায়ী সাবেক মন্ত্রীরা দুই বছরের মধ্যে নতুন চাকরিতে যোগ দিতে চাইলে অ্যাডভাইজরি কমিটি অন বিজনেস অ্যাপয়েন্টমেন্টকে জানাতে হয়।

এক বিবৃতিতে কমিটি জানায়, বিধি লঙ্ঘনের জবাব চেয়ে বরিস জনসনকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, ‘কমিটিকে তিনি আগেই জানিয়েছেন। স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই তিনি চাকরিতে যোগ দেন।’

অবশ্য ওই কমিটির বিচারিক বা প্রশাসনিক ক্ষমতা নেই। কমিটি কেবল সাবেক মন্ত্রীদের নতুন চাকরি সম্পর্কে জেনে পরামর্শ দিতে পারে।

ওই পরামর্শ বাস্তবায়নে চাপ দিতে পারে না। কেউ এ আচরণবিধি অমান্য করলে তাকে শাস্তি দেয়ারও ক্ষমতা নেই কমিটির। তবে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিরস্কার জারি করতে পারে।

কমিটির এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, ‘সংবাদপত্রে কলাম লেখার চাকরি বড় কোনো সমস্যা হিসেবে দেখা হয় না। কিন্তু কথা হলো বরিস আবারও আইন ভঙ্গ করলেন। কমিটির পরামর্শ নেওয়াটা তার জন্য এখনও বিধিবদ্ধ।’

এ বিভাগের আরো খবর