ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রেনের লাইনচ্যুত বগিতে যাত্রীবাহী অপর ট্রেনের ধাক্কায় নিহত বেড়ে ২৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ৯০০ জন।
ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনা বার্তা সংস্থা এএনআইকে শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে প্রদীপের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, দুই ট্রেনের পাশাপাশি দুর্ঘটনার শিকার হয় মালবাহী একটি ট্রেনও।
ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী এ দুর্ঘটনায় পড়ে বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস ও মালবাহী একটি ট্রেন।
ওড়িশার মুখ্যসচিব জানান, কলকাতা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় পড়া যাত্রীদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে। আশপাশের জেলাগুলোর সব হাসপাতালকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
মুখ্যসচিব জানান, ঘটনাস্থলে রাখা হয়েছে ন্যাশনাল ডিজ্যাস্টার রেসপন্স ফোর্সের তিন ইউনিট, ওড়িশা ডিজ্যাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ৪ ইউনিট, ফায়ার সার্ভিসের ১৫টির বেশি উদ্ধারকারী দল, ৩০ জন চিকিৎসক, ২০০ পুলিশ সদস্য ও ৬০টি অ্যাম্বুলেন্স।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবিন পট্টনায়েক রাজ্যে এক দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।
ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে জানান, উদ্ধার তৎপরতায় সাহায্য করতে বিমান বাহিনীকে ডাকা হয়েছে।
ক্ষতিপূরণ
রেলমন্ত্রী জানান, দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো প্রত্যেকের পরিবার পাবে ১০ লাখ রুপি। মারাত্মক আহত ব্যক্তিদের ২ লাখ রুপি এবং সামান্য আহত যাত্রীদের ৫০ হাজার রুপি করে দেয়া হবে।
দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, রেল মন্ত্রণালয় প্রদেয় অর্থের বাইরে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল (পিএমএনআরএফ) থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রুপি করে এবং আহত ব্যক্তিদের ৫০ হাজার রুপি করে দেয়া হবে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে জানান, তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং মুখ্যসচিব ও অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।