বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাতির জন্য মহাসড়কে হচ্ছে আন্ডারপাস

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২২ মে, ২০২৩ ১১:৫৬

এই আন্ডারপাসটি সাত মিটার উঁচু এবং প্রায় দেড় শ মিটার দীর্ঘ হবে। আন্ডারপাসের নিচ দিয়ে হাতি যাতায়াত করবে এবং ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে। যার ফলে ঝাড়গ্রাম ও খড়্গপুর বনবিভাগের মধ্যে হাতির দল সহজেই আন্ডারপাস দিয়ে নিজেদের রুটে যাতায়াত করবে এবং গাড়ি চলাচলেও বিঘ্ন ঘটবে না।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি মহাসড়কে বুনো হাতির যাত্রাপথ সুগম করতে তৈরি হচ্ছে আন্ডারপাস।

ঝাড়গ্রাম জেলার গুপ্তমণি সংলগ্ন হাতির করিডরে ৬ নম্বর কলকাতা-মুম্বই জাতীয় সড়কে এই আন্ডারপাস তৈরি হবে বলে এক প্রতিবেদনে সোমবার জানিয়েছে এই সময়।

হাতি-মানুষের সংঘাত মেটাতে এবং হাতির যাত্রাপথকে সুগম করতে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে (এনএইচএআই) আন্ডারপাস তৈরির জন্য প্রস্তাব দেয় বন দপ্তর। ইতোমধ্যে, সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে এনএইচএআই বন দপ্তরের সঙ্গে যৌথভাবে সমীক্ষাও করেছে।

এই আন্ডারপাসটি সাত মিটার উঁচু এবং প্রায় দেড় শ মিটার দীর্ঘ হবে। আন্ডারপাসের নিচ দিয়ে হাতি যাতায়াত করবে এবং ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে। যার ফলে ঝাড়গ্রাম ও খড়্গপুর বনবিভাগের মধ্যে হাতির দল সহজেই আন্ডারপাস দিয়ে নিজেদের রুটে যাতায়াত করবে এবং গাড়ি চলাচলেও বিঘ্ন ঘটবে না।

রাজ্যের মুখ্য বনপাল (পশ্চিম চক্র) অশোকপ্রতাপ সিং বলেন, গুপ্তমণি সংলগ্ন হাতির করিডর এলাকায় জাতীয় সড়কের ওপরে আন্ডারপাস তৈরির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। বন দপ্তর এবং ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া যৌথভাবে সমীক্ষাও করেছে।

তিনি বলেন, এই আন্ডারপাস তৈরি হলে হাতি ও মানুষের সংঘাত অনেকটাই এড়ানো সম্ভব হবে। হাতি ও গাড়ি উভয়েই নিজেদের যাত্রাপথে কোনও বিঘ্ন ছাড়াই সুন্দর ভাবে যাতায়াত করতে পারবে।

গত কয়েক দশক ধরে বুনো হাতির দল ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দলমা পাহাড় থেকে বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম জেলা হয়ে ওডিশার দিকে যায়। আবার একই রুটে ফিরেও আসে।

মূলত মেদিনীপুর বনবিভাগের চাঁদড়া থেকে কংসাবতী নদী পেরিয়ে মানিকপাড়ায় ঢুকে খালশিউলি, সরডিহা হয়ে গুপ্তমণি সংলগ্ন এলাকায় জাতীয় সড়ক পারাপার করে হাতির দল। পরে খড়্গপুর বনবিভাগের জটিয়া, দুধকুণ্ডি হয়ে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে নয়াগ্রাম হয়ে ওডিশায় চলে যায়।

আগে বছরে দু-তিনবার হাতি এ পথ দিয়ে যাতায়াত করলেও বর্তমানে প্রতি মাসেই হাতি যাতায়াত করছে এই রুট দিয়ে। যার ফলে জাতীয় সড়ক প্রায়ই দিন অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে। রাস্তার দু পাশে মালবাহী লরি ও ট্রাক দাঁড়িয়ে পড়ছে। এমনকি, খাবারের সন্ধানে শুঁড় দিয়ে মালবাহী গাড়িতে মাঝে মধ্যে হানাও দিচ্ছে হাতি।

রাতে জাতীয় সড়ক পারাপারের সময় দু পাশের গাড়ির আলোয় অনেক সময় হাতির পাল দিকভ্রান্ত হয়ে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে রং রুটে হাতি ঢুকে এলাকায় প্রাণহানি থেকে ক্ষয়ক্ষতিও করছে।

রাতে গাড়ির আলো যাতে আন্ডারপাসের মধ্যে না পড়ে সে জন্য ওপরে রাস্তার দু'পাশেই রিফ্লেক্টরও দেওয়া হবে। এর ফলে হাতির চোখে কোনো আলো পড়বে না।

আন্ডারপাস তৈরি করতে প্রায় ২০ কোটি রুপি খরচ ধার্য করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত ছাড়পত্র মিললেই কাজ শুরু হবে।

এ বিভাগের আরো খবর