ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ করার জন্য রাশিয়াকে চাপ দিতে কৌশলগত মিত্র চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বের ৭ উন্নত দেশের জোট গ্রুপ অফ সেভেন (জি-সেভেন)।
শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে জি-সেভেনের নেতারা এই আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করে অবিলম্বে দেশটি থেকে নিঃশর্তভাবে রাশিয়ান সেনা প্রত্যাহার করতে বলার জন্য আমরা চীনের প্রতি আহ্বান জানাই। সে সঙ্গে আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও জাতিসংঘ সনদের নীতি ও উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে ন্যায্য ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনে সমর্থন করতে আমরা বেইজিংকে উত্সাহিত করছি।’
গ্রুপটি বলছে, জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য রক্ষা, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশগুলোকে ঋণ ও আর্থিক সহায়তা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে চীনকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন।
যৌথ বিবৃতিতে পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক উপস্থিতি ও সায়ত্তশাসিত তাইওয়ানের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে দেশটির বার বার হুমকির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জি-সেভেন। চীনের কাছে তারা তাইওয়ান ইস্যুর একটি ‘শান্তিপূর্ণ সমাধান’ আহ্বান করেছে।
বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ব্যাপক সামরিক উপস্থিতির কোনো আইনগত বৈধতা নেই। আমরা এই অঞ্চলে চীনের সামরিক কার্যক্রমের বিরোধিতা করি। চীনের বর্তমান নীতি আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি লংঘন করেছে।’
বিবৃতিতে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয় যেমন তিব্বত, হংকং ও জিনজিয়াং প্রদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন নেতারা।
একইসঙ্গে বলা হয়, ‘আমাদের নীতিগুলো কোনোভাবেই চীনকে ক্ষতি করতে বা দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার জন্য প্রণয়ন করা হয়নি।’
জি-সেভেনের এবারের আয়োজক জাপান ছাড়াও গ্রুপটিতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, ইতালি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
তিন দিনব্যাপী শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে শনিবার বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়।
প্রসঙ্গত, সম্মেলনে যোগ দিতে শনিবার হিরোশিমায় পৌঁছেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। রোববার তিনি সম্মেলনে যোগ দেবেন।