বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অবশেষে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করল কংগ্রেস

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৮ মে, ২০২৩ ১৫:৪৮

চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর শিবকুমার তার মত পরিবর্তন করে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছেন। এমনকি দুজনে নিজেদের দায়িত্ব পালনে একে অপরের হাত ধরে কাজ করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন।

কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নিরঙ্কুশ জয়ের পর সিদ্দরামাইয়া নাকি ডি কে শিবকুমার হবেন মুখ্যমন্ত্রী, এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে চলছিল জল্পনা। এসব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিদ্দরামাইয়াকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে কংগ্রেস। সেই সঙ্গে ডি কে শিবকুমারকে করা হয়েছে উপমুখ্যমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার ওই দুই নেতার দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দিলে কর্ণাটকে পাঁচ দিন ধরে চলা রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হয়।

শনিবার নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে শপথ নেবেন সিদ্দরামাইয়া ও শিবকুমার।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোটে জয়লাভের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন কংগ্রেসের ওই দুই নেতা। দুজনের কেউই কাউকে ছাড় দিতে রাজি ছিলেন না। এতে কে হচ্ছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়ে সৃষ্টি হয় অনিশ্চয়তা।

এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দুজনকে ভাগ করে দেয়া যেতে পারে কি না, এ ব্যাপারেও আলোচনা ওঠে।

কংগ্রেসের মুখপাত্র রনদীপ সিং সুরজেওয়ালা অবশ্য সরাসরি এ প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘যদি তা হয়ই, তাহলে তা হবে কর্ণাটকের জণগণের মাঝে ক্ষমতা ভাগ করে দেয়া; আর কিছু নয়।’

তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর শিবকুমার তার মত পরিবর্তন করে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছেন। এমনকি দুজনে নিজেদের দায়িত্ব পালনে একে অপরের হাত ধরে কাজ করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন তারা।

এক টুইটে শিবকুমার বলেন, ‘কর্ণাটকের জনগণের নিরাপদ ভবিষ্যৎ ও তাদের উন্নয়নের জন্য কাজ করাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। এ জন্য আমরা একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করব।’

সিদ্দরামাইয়া বলেন, ‘কন্নড়িদের স্বার্থ রক্ষায় আমরা সবসময় ঐক্যবদ্ধ থকব। কংগ্রেস একটা পরিবার। পরিবারের সদস্যদের মতোই আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’

মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে অসন্তোষের মীমাংসা করতে কয়েক দফা বৈঠক করেও ওই জট খুলতে পারেননি দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। বুধবার ওই দুই নেতার সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন রাহুল গান্ধী, কিন্তু সেদিনও কর্ণাটকের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় বসতে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি হননি।

বুধবার রাতে কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধী শিবকুমারকে ফোন করলে তিনি কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে রাজি হন।

কংগ্রেস সূত্রে জানা যায়, সোনিয়া গান্ধী শিবকুমারকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর্ণাটকে কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। এমনকি তাকে তার পছন্দমতো দপ্তর দেয়ার ব্যাপারেও আশ্বস্ত করেন।

এ বিভাগের আরো খবর