বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউক্রেন ছাড়ল খাদ্যবাহী শেষ জাহাজ, চুক্তি নবায়নে অনিশ্চয়তা

  •    
  • ১৭ মে, ২০২৩ ১৯:১৩

১৮ মে’র মধ্যে নিজেদের কৃষিপণ্য রপ্তানিতে নিরাপত্তার ব্যাপারে কিছু শর্ত পুরণ না হলে চুক্তির মেয়াদ বাড়বে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। এতে আমদানিনির্ভর দেশগুলো বিপদে পড়ার পাশাপাশি বৈশ্বিক খাদ্য সংকট আরো বাড়তে পারে।

কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য সারাবিশ্বে পৌছানোর ‘কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি’র মেয়াদ আগামীকাল শেষ হবে। ২০২২ সালের জুলাইতে হওয়া এই চুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে না বাড়ালে আমদানিনির্ভর দেশগুলো বিপদে পড়ার পাশাপাশি বৈশ্বিক খাদ্য সংকট আরো বাড়তে পারে।

এর মধ্যে দু’বার ওই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলেও ১৮ মে’র মধ্যে নিজেদের কৃষিপণ্য রপ্তানিতে নিরাপত্তার ব্যাপারে কিছু শর্ত পুরণ না হলে চুক্তির মেয়াদ বাড়বে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে সৃষ্ট বৈশ্বিক খাদ্য সংকট সামাল দিতে ২০২২ সালের জুলাই মাসে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্ততায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ‘কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি’ হয়। ওই চুক্তির আওতায় ইউক্রেন কৃষ্ণসাগরেরে রাশিয়া অধ্যুষিত অঞ্চল দিয়ে সারা বিশ্বে শস্য রপ্তানির অনুমোদন পায়।

নভেম্বর মাসে আরও তিন মাসের জন্য চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। পরে এ বছরের মার্চ মাসে নিজেদের শস্য রপ্তানির বিষয়ে কিছু শর্ত আরোপ করে আরও দু’মাসের জন্য চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয় রাশিয়া।

চুক্তির ফলে বিশ্ববাজারের ঊর্ধ্বমুখী খাদ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক হয়। কিন্তু এই চুক্তি বন্ধ হয়ে গেলে বিশ্বে আবারও খাদ্য সংকট ও খাদ্যপণ্যের মূল্য বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চুক্তির ব্যাপারে রাশিয়া, ইউক্রেন, তুরস্ক ও জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দুই সপ্তাহ ধরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে মঙ্গলবার জাতিসংঘের মুখোপাত্র স্টেফানি ডুজারিস বলেন, ‘চুক্তির বিভিন্ন খাত নিয়ে এর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমরা এখন একটি সূক্ষ্ম পর্যায়ে রয়েছি।’

ক্রেমলিনের মুখোপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘চুক্তিতে আমাদের বিষয়গুলো নিয়ে এখনও অনেকগুলো প্রশ্ন অমীমাংসিত রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের এখন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়।’

তবে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসৌলু চুক্তির মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়তে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা বিশ্ব নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও দেশটির খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানি ওই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রাখা হয়।

কিন্তু মস্কো বলছে, অর্থ লেনদেন, বীমা ও কৌশলগত বিধিনিষেধ শস্য রপ্তানিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে কারণে বানিজ্যিক ক্ষতি ও সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে রাশিয়ার শর্তগুলো না মানলে চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াবে না রাশিয়া।

রাশিয়ার এই হুঁশিয়ারির পর কোনো জাহাজ মালিক বা বীমা কোম্পানির কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়েছে।

রাশিয়ার ওই ঘোষণার পর বুধবার সবশেষ ৩০ হাজার টন ভুট্টা নিয়ে ইউক্রেনের চর্নোমোর্স্ক বন্দর ছেড়ে গিয়েছে ডিএসএম ক্যাপেলা নামের একটি জাহাজ। ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমান চুক্তিতে এটিই ইউক্রেনের সর্বশেষ শস্য রপ্তানির চালান।

এ বিভাগের আরো খবর