২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ভবিষ্যৎ কী হবে সেই ঘোষণা আসছে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই।
স্থানীয় সময় রোববার তুরস্কে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জনগণ দেশটির আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন এদিন।
বিবিসি বলছে, নির্বাচনে এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কুলুচদারুলু নাকি এরদোয়ানাই আবার ক্ষমতায় বসবেন তা নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। চলছে ভোট গণনা।
কেমাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে এরদোয়ান যে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন, তা বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি এক বৃহত্তর বিরোধী জোটের প্রার্থী এবং তার নির্বাচনে জেতার সত্যিকারের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন অনেকে।
নির্বাচনে জিততে হলে একজন প্রার্থীকে মোট প্রদত্ত ভোটের অন্তত ৫০ শতাংশ পেতে হবে। তা না হলে দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় দফা ভোট নেয়া হবে।
তুরস্কের স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোর সামনে ভোটাররা লাইন দিতে শুরু করেন।
তুরস্কের ভোটাররা এমন এক সময়ে এই নির্বাচনে ভোট দিলেন যখন তাদের কঠিন অর্থনৈতিক অবস্থার মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
দেশটিতে মূল্যস্ফীতি এখন লাগামছাড়া। সরকারি হিসেবেই মূল্যস্ফীতির হার ৪৪ শতাংশ। কিন্তু অনেক মানুষের ধারণা এটি আসলে অনেক বেশি হবে।
অন্যদিকে তুরস্কের ১১ টি প্রদেশ সম্প্রতি দুই দফা ভূমিকম্পের ধাক্কা সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে। এই ভূমিকম্পে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।