কয়েক মাস রাশিয়ার দখলে থাকার পর ইউক্রেন ফের বাখমুত দখলে নেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার বলেছেন, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী বাখমুতে এক সপ্তাহে দুই কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে।
ইউক্রেনের এই দাবি বাখমুতে যুদ্ধ পরিস্থিতির গতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেও এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ নেই বলে বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রাশিয়া অবশ্য ইউক্রেনের এ দাবি অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনী একটি এলাকায় পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, বাখমুতের দক্ষিণ-পশ্চিমে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলো মালোইলিনিভকা এলাকায় আরও ভালো অবস্থান নিয়েছে। কারণ ওই এলাকায় বার্খিভকা জলাধারের পাশের জায়গাগুলো লড়াইয়ের জন্য বেশি ‘উপযুক্ত’।
তবে রাশিয়ার বেসরকারি ভাড়াটে বাহিনী ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন বলেছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (রাশিয়া) যা বলছে তা ‘পুনরায় সংগঠিত’ হওয়া নয়; সহজ ভাষায় তাকে ‘পালানো’ বলা হয়।
গত কয়েক মাসের লড়াইয়ে বাখমুত কৌশলগতভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যুদ্ধে এখানকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক বেশি। যুদ্ধে দুই পক্ষই হাজারো সেনা হারিয়েছে।
বাখমুতে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভাগনার।
যুদ্ধ শুরুর আগে শহরটিতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের বসবাস ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভাগনার এবং রুশ সামরিক বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ পাচ্ছে।