পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বুধবার দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
ইমরানের গ্রেপ্তারের পরপরই মঙ্গলবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়।
ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইমরান খানের বিরুদ্ধে করা মামলা মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে ‘ফ্যাসিজম’ প্রতিরোধে জনগণকে রাস্তায় নেমে এসে ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানান পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতারা। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ইমরান খানের পূর্বঘোষিত জনসভাও নির্ধারিত সময়ে পালন করা হবে।
পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেশির নেতৃত্বে দলটির ইমারজেন্সি কমিটির সভায় ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ কমিটি পরিস্থিতি অনুযায়ী আন্দোলনের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করবে।
দলটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শাহ মাহমুদ কোরেশি সাত সদস্যের ইমারজেন্সি কমিটির গৃহীত পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বকে দেখানো হচ্ছে পাকিস্তানে আর কোনো আইন অবশিষ্ট নেই। ’
এদিকে শাহ মাহমুদ কোরেশি করাচি বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইমরান খানের গ্রেপ্তার পূর্বপরিকল্পিত। এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের লন্ডন সফরের সম্পর্ক রয়েছে।’
পাকিস্তানজুড়ে পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীদের সহিংস বিক্ষোভের বিষয়টি নাকচ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কোরেশি আরও বলেন, ‘জনগণ নিজেরাই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তারা শুধু তাদের নেতা ইমরান খানের নিরাপত্তা চায়। তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছে।’