জাপানে হু হু করে বাড়ছে ডিমের দাম। এই খাদ্যদ্রব্য কিনতে এখন আগের চেয়ে বেশ বেশি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লুর অতি-সংক্রামক ধরন ছড়িয়ে পড়ার পর বহু সংখ্যক মুরগি মেরে ফেলায় সম্প্রতি এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এশিয়ার এ দেশের রেস্তোরাঁগুলোতে যে খাবার বিক্রি হয় সেগুলোর অনেক কিছুতেই উপকরণ হিসেবে মুরগির ডিম ব্যবহার করা হয়। বাসা-বাড়ির নাস্তা বা অন্য সময়ের খাবারেও লাগে ডিম।
মুরগি মেরে ফেলার প্রেক্ষাপটে ডিমের উৎপাদন কমায় এই পণ্য এখন অনেকটা বিলাাসি পণ্যের তালিকায় ঢুকে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ এগ্রিকালচার কোঅপারেটিভ অ্যাসোসিয়েশন বলছে, এক কেজি মধ্যম সাইজের মুরগির ডিম কিনতে জাপানে ব্যয় করতে হচ্ছে ৩৫০ ইয়েন বা বাংলাদেশি টাকায় ২৮০ টাকা।
সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে প্রকোপ বেড়েছে বাড ফ্লুর। তবে জাপানে এর প্রভাব পড়েছে অনেকটাই বেশি। এ অবস্থায় দেশজুড়ে ১৭ মিলিয়ন মুরগি মেরে ফেলা হয়েছে সে দেশে। এর মধ্যে ডিম দিত এমন মুরগির সংখ্যা ছিল ৯ শতাংশ।
স্থানীয় ডিম ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, এক বছর আগের তুলনায় জাপানে মুরগির ডিমের দাম ৭০ ভাগ বেড়েছে।
ডিমের দাম যে হারে বেড়েছে তার প্রভাত ততটা ভোক্তাদের ওপর এখনও না পড়লেও রেস্তোরাঁগুলো খাবারের মেনু পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রেস্তোরাঁ মালিকরা।
জাপানের ম্যাকডোনাল্ডস কর্তৃপক্ষ গত মাসে ক্রেতাদের জানিয়েছে, তাদের জনপ্রিয় টেরিটামা বার্গার বিক্রি স্থগিত করা হতে পারে। এই খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ডিম।
সার্বিক পরিস্থিতিতে ডিমের দাম সহসাই কমছে না বলে ধারণা দিয়েছেন ডিম উৎপাদন ও ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা।