বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসরায়েলে তীব্র চাপের মুখে নেতানিয়াহুর সরকার

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৭ মার্চ, ২০২৩ ২২:০৪

দেশটিতে প্রায় সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভ করছেন, সারা দেশ জুড়ে ডাকা ধর্মঘটের কারণে বিমান ও সমুদ্র বন্দর অচল হয়ে পড়েছে, ব্যাংক ও দোকানপাটও বন্ধ। ডাক্তার ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারাও ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু চাপের মুখে পড়েছেন। বিচারবিভাগে সংস্কারের এক বিতর্কিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে গিয়ে এই চাপে পড়েছেন তিনি।

নেতানিয়াহু এবং তার ডানপন্থি সরকার এ চাপ সামাল দিতে পারবে কি না- সে প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে প্রতিবেদেন জানিয়েছে বিবিসি।

দেশটিতে প্রায় সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভ করছেন, সারা দেশ জুড়ে ডাকা ধর্মঘটের কারণে বিমান ও সমুদ্র বন্দর অচল হয়ে পড়েছে, ব্যাংক ও দোকানপাটও বন্ধ। ডাক্তার ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারাও ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছে।

এর আগে সংস্কারের উদ্যোগ বন্ধ করার ডাক দিয়ে বরখাস্ত হনসরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। দেশটির শক্তিশালী সামরিক বাহিনীও এর বিরোধিতা করছে, এমনকি ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই পরিকল্পনা পরিত্যাগ করার জন্য।

এই বিরোধিতাকারীরা বলছেন, বিচার বিভাগে যেসব পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে- তা ইসরায়েলের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেবে।

সূত্র বলছে, তীব্র বিক্ষোভের মুখে নেতানিয়াহু শিগগিরই এ পরিকল্পনা কয়েক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করার করার কথা ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। তবে এ খবর নিশ্চিত করা যায়নি।

সোমবার সকালের দিকে, এক টুইটারে এক বার্তা পোস্ট করে নেতানিয়াহু সব পক্ষের প্রতিবাদকারীদের দায়িত্বশীল আচরণ করা এবং সহিংসতা থেকে বিরত থাকার ডাক দিয়েছেন।

এমন এক সময় তার এই আহ্বানের কথা জানা গেল যখন ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাতে বলেছে, খুব শিগগিরই তারা উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পাবার আশঙ্কা আছে, কারণ উগ্র দক্ষিণপন্থি কর্মীরাও সোমবার কেনেসেটে বিক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা করেছে।

নেতানিয়াহুর বিতর্কিত পরিকল্পনায় সরকারকে বিচারক নিয়োগকারী কমিটির উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।এ ছাড়া আইনপ্রণেতাদের কেউ দায়িত্ব পালনের জন্য অযোগ্য হলে, তাকে অপসারণ করাটা আদালতের জন্য আগের চাইতে কঠিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছে। তারা মনে করেন, এ বিধানটি ক্ষমতাসীন নেতা নেতানিয়াহুর স্বার্থ বিবেচনা করে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর