রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের ধাক্কায় নজরদারি ড্রোন বিধ্বস্ত হয়ে কৃষ্ণসাগরে পড়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, তবে এ দাবি অস্বীকার করে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ড্রোনটিকে আটকাতে তড়িঘড়ি করছিল রুশ বিমান। যদিও অস্ত্র ব্যবহার কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের মনুষ্যবিহীন যানটির সঙ্গে রুশ বিমানের কোনো সংঘর্ষ হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় ওড়ার সময় আমেরিকার ড্রোনটিকে বেপরোয়াভাবে আটকে দেয় রাশিয়ার দুটি সুখোই-২৭ যুদ্ধবিমান।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, এমকিউ-৯ ড্রোনটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে রুশ যুদ্ধবিমানগুলো এর ওপর জ্বালানি ফেলে এবং অনিরাপদভাবে এর সামনে দিয়ে চক্কর দেয়। এর ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমান ড্রোনের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধায়, যাতে মনুষ্যবিহীন যানটি বিধ্বস্ত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগন বলেছে, রাশিয়া ড্রোনটিকে উদ্ধার করেনি এবং এটি সম্ভবত অকেজো হয়ে গেছে।
অন্যদিকে ড্রোন বিধ্বস্তের অভিযোগ অস্বীকার করে রাশিয়ার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, মনুষ্যবিহীন যানটির সঙ্গে তাদের বিমানের কোনো সংঘর্ষ হয়নি। ক্ষিপ্র গতিতে চলার কারণে ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে ড্রোনটি শনাক্ত হয়। রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়ার দখল নেয়।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী কৃষ্ণসাগরে ঘটা এ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।