টিউমার সন্দেহে অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছেন চিকিৎসক। আসলে যেখানে অপারেশন করা হয়েছে, সেখানে কোনো টিউমারই ছিল না।
২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর ইতালির তাসকেনি অঞ্চলের আরেজু নগরের এ ঘটনায় ওই রোগীর ক্ষতিপূরণের আবেদনের ওপর চলতি মাসেই শুনানি হবে বলে জানিয়েছে টাইমস নাও ডটকম।
৩০ বছর বয়সী অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন কর্মকর্তারা। আর রোগী তার কাছে যে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন, তার শুনানি হবে ৯ মার্চ। চিকিৎসকের সাজাও দাবি করেছেন ভুক্তভোগী।
দীর্ঘ দিন ধরে যৌনাঙ্গে ব্যথা অনুভব করতেন ইতালির ওই বাসিন্দা। অনেক পরীক্ষার পর চিকিৎসক তাকে জানান, যৌনাঙ্গে টিউমার রয়েছে। তা থেকেই যন্ত্রণা। অস্ত্রোপচার করে টিউমার বাদ দিতে হবে।
চিকিৎসকের কথা মেনে রোগী রাজিও হয়ে যান অস্ত্রোপচারে। যথারীতি অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু অপারেশন শেষে চিকিৎসক বুঝতে পারেন টিউমার ছিলই না। ততক্ষণে রোগীর যৌনাঙ্গ কেটে বাদ দেয়া হয়ে গেছে।
ডেইলি মেইল বলছে, ৬০ বছরের বেশি বয়সী এ রোগীর আসলে সিফিলিসের সমস্যা ছিল; যা ওষুধেই সেরে যায়। কিন্তু চিকিৎসকের ভুল নিরীক্ষার জেরে যৌনাঙ্গ হারালেন তিনি।
গত বছর ফ্রান্সেও এক রোগীর ভুল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অস্ত্রোপচার করে তার যৌনাঙ্গ বাদ দেন এক চিকিৎসক। ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই রোগীর আইনজীবী ১০ লাখ ইউরোর দাবি করেছিলেন। আদালত তাকে ৬২ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণ বাবদ দেয়ার নির্দেশ দেয়।