মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে না পারলে আগামী বছরই রাশিয়া অর্থশূন্য হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন দেশটির ব্যবসায়ী ওলেগ দেরিপাস্কা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সাইবেরিয়ায় একটি অর্থনৈতিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
দেরিপাস্কা গত বছরই ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর তা থামাতে রুশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন যে, ফান্ড কমতে শুরু করায় ব্যবসায়ীদের হতাশ করছে রুশ সরকার। রুশ এই ব্যবসায়ীর দাবি, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে গুরুতরভাবে ভুগতে হচ্ছে রাশিয়াকে।
সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পরেও তার দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। এর মধ্যেই এমন দাবি করলেন দেরিপাস্কা।
সরকারের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, রাশিয়ার অর্থনৈতিক উৎপাদন গত বছর মাত্র ২ দশমিক ১ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে। যদিও অনেক অর্থনীতিবিদ ধারণা করেছিল যে, সংকোচনের পরিমাণ আরও বেশি হবে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার ওপর সাড়ে ১১ হাজারের বেশি নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে ও দেশটির ৩০ হাজার কোটি ডলার জব্দ করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের বিনিয়োগের কারণে এমন পরিস্থিতির মধ্যেও অর্থনীতি চাঙা রাখতে পেরেছেন পুতিন।