ইউক্রেনে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু করা ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ জন্য রাশিয়াকে শাস্তি দেয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল হাউসে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠকে তারা রাশিয়াকে শাস্তির বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছান বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধের এক বছর পর রাশিয়াকে কোনো ধরনের অস্ত্র দিলে মিত্র দেশ চীন নিষেধাজ্ঞায় পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক কর্মকর্তা। এর রেশ না কাটতেই বাইডেন ও শুলজ রাশিয়ার বিষয়ে তাদের কড়া অবস্থান ব্যক্ত করলেন।
বাইডেন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানান, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ও জার্মানির চ্যান্সেলরের একান্ত বৈঠকে ইউক্রেনের জনগণের প্রতি অব্যাহত ‘বৈশ্বিক সংহতি’র পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত দেশটিকে নিরাপত্তা, মানবিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহায়তা দেয়ার বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে।
বৈঠকে ‘শক্তিশালী ও দৃঢ়’ নেতৃত্ব এবং ইউক্রেনের প্রতি সমর্থনের জন্য জার্মান চ্যান্সেলরকে ধন্যবাদ জানান বাইডেন।
শুলজ বলেন, মিত্ররা যতদিন প্রয়োজন ততদিনই যে ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাবে, তা জানানো গুরুত্বপূর্ণ।
দুই দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, বাইডেন ও শুলজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবস্থা এবং রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করলে চীনের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলবেন।
ইউক্রেনে রুশ হামলার বার্ষিকীর এক সপ্তাহ পর এক দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যান জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমেরিকায় এটি তার দ্বিতীয় সফর।