রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে এক বছরের বেশি সময় হলো। এ সময়ে ইউক্রেনের সেনাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুদ্ধে সাবেক এ কমেডিয়ানকে মুখোমুখি হতে হয়েছে কঠিন পরিস্থিতির।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সংঘটিত সবচেয়ে বড় এ যুদ্ধে একটি গোপন বাঙ্কারে থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের সাহস যুগিয়ে যাচ্ছেন জেলেনস্কি। ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ উপলক্ষে তথ্যচিত্র ‘ইয়ার’-এ সেই বাঙ্কারটিকে দেখানো হয়েছে।
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কির বাঙ্কারটির কিছু অংশ দেখা গেছে। তবে এবার তথ্যচিত্রটিতে পুরোপুরি প্রকাশিত হয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মেট্রোর প্রতিবেদনে বলা হয়, বাঙ্কারটিতে একটি সিঙ্ক, একটি বিছানা ও বেশ কয়েকটি শোপিস।
তথ্যচিত্র নির্মাতা দিমিত্রো কোমারোভকে জেলেনস্কি বলেন, এটি আমার বাসা। যেখানে আমি এক বছর ধরে থাকছি।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার দিনের কথা স্মরণ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ফোনে জানতে পেরেছিলাম যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এরপরই আমি বাঙ্কারের উদ্দেশে রওনা হই।
সেদিন সকালে আমার স্ত্রী ও আমি জেগে উঠি। আমার সন্তান ও পরিবারের বাকি সদস্যরা ঘুমাচ্ছিল। আমি দ্রুত বের হয়ে যাই। আমি আমার পরিবারকে ভালোবাসি, কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার এখানে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
জেলেনস্কি জানান, তিনি আসার কয়েক ঘণ্টা পর তার পরিবারের সদস্যরা তার কাছে আসেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট যে বাঙ্কারটি থেকে যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করছেন সেখানে একটি টেলিফোন, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইস্টন চার্চিলের মূর্তি ও ছোট ছোট যুদ্ধবিমান ও ট্যাংকের মডেল দেখা গেছে।
জেলেনস্কি জানান, ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে রাশিয়া হামলার চালানোর পর তিনি বিশ্বের ২৭টি দেশের প্রধানকে ফোন দিয়েছিলেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল সব গুছিয়ে নিতে। কারণ আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আমি আমার কথা ভাবিনি।
জেলেনস্কি তথ্যচিত্র নির্মাতাকে তার ওয়্যারড্রোবও দেখিয়েছেন। সেখানে বেশিরভাগ খাকি রংয়ের সোয়েটার ও জ্যাকেট দেখা গেছে। সেইসঙ্গে ছিল একটি নতুন স্যুটও।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, যুদ্ধ জয়ের পরদিনই তিনি সেই স্যুটটি পরবেন।