৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাত। গভীর নিদ্রায় তুরস্কের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চল। হঠাৎ কম্পনে ঘুম ভাঙে সবার।
বুঝে ওঠার আগেই ভবনের নিচে চাপা পড়তে থাকেন একের পর এক মানুষ। কেউ তৎক্ষণাৎ, কেউ বা পরে প্রাণ হারান ইট-পাথরের নিচে।
ভাগ্যবানরা উদ্ধার হতে পেরেছেন প্রায় দুই সপ্তাহ পরও। বাকিরা রেখে গেছেন ভাঙা দরজা-জানালা কিংবা আসবাব। কারও কারও ধ্বংসস্তূপে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে খেলার পুতুল।
এমন কিছু পুতুলের সন্ধান পাওয়া গেছে ভূমিকম্পে তুরস্কের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল আদিয়ামান ও হাতাই প্রদেশে, যেগুলোর ভিডিও ধারণ করেছে আনাদোলু। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাটির ফুটেজে দেখা যায়, ধ্বংসস্তূপের পাশে পড়ে আছে লাল একটি গাড়ি।
আরেক অংশে গোলাপি জামা পরা একটি পুতুলকে দেখা যায়, যেটি চাপা পড়েছে ধ্বংসস্তূপে।
বর্ণিল একটি টেডি বেয়ারকে দেখা গেছে, যেটি ভবন থেকে বের হয়ে আসা রডে জড়িয়ে রয়েছে। এ যেন ভূমিকম্পে আটকে পড়া মানুষের প্রতিচ্ছবি।
ভবনের ধ্বংসস্তূপের ওপর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পুতুল দেখা গেছে। নিথর মানবদেহের মতো এসব পুতুলে আছে শুধু স্মৃতি।
ভূমিকম্পপ্রবণ তুরস্ক ও যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় ভূকম্পনে প্রাণহানি বেড়ে ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এ দুর্যোগে আহত হয়েছে দুই দেশের হাজার হাজার নাগরিক। বরফশীতল পরিবেশে ঘরহারা হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
তুরস্কের ১১টি প্রদেশে ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আদানা, কিলিস ও সানলিউরফায় উদ্ধার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।