চলতি বছরে প্রথমবারের মতো একজন নারী নভোচারীকে মহাকাশ মিশনে পাঠাবে সৌদি আরব।
অতি-রক্ষণশীল ভাবমূর্তি ঝেড়ে ফেলতেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রায়ানা বারনাভি সৌদি নভোচারী আলি আল-কারনির সঙ্গে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে মহাকাশের উদ্দেশে রওনা হবে। আমেরিকান প্রতিষ্ঠান অ্যাকজিওম স্পেসের ‘এএক্স-২’ শীর্ষক মহাকাশ অভিযানে এ দুই সৌদি নভোচারী অংশ নেবেন। তাদের বহনকারী রকেট যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড্ডয়ন করা হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর সৌদি আরবই মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে মহাকাশে নভোচারী পাঠাচ্ছে। আরব দেশগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো ২০১৯ সালে আমিরাতের হাজা আল-মানসুরি মহাকাশে যান। সে সময় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) আট দিন ছিলেন তিনি।
সুলতান আল-নেয়াদি নামের আরেক আমিরাতি চলতি মাসেই মহাকাশে যাবেন। নেয়াদিকে (৪১) ডাকা হচ্ছে ‘মহাকাশের সুলতান’ হিসেবে। স্পেসএক্সের ‘ফ্যালকন ৯’ রকেটে ছয় মাসের জন্য আইএসএসের উদ্দেশ্যে রওনা করবেন তিনি।
এএফপি বলছে, উপসাগরীয় অঞ্চলের রাজতন্ত্রগুলো তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনার চেষ্টায় আছে। সংস্কারের মাধ্যমে নিজেদের রক্ষণশীল ভাবমূর্তি বদলাতে চায় তারা। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও সে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
২০১৭ সালে সালমান ক্ষমতায় আসার পর থেকে সৌদি আরবে নারীরা গাড়ি চালানোর পাশাপাশি পুরুষ অভিভাবক ছাড়া বিদেশভ্রমণের অনুমতি পায়। ২০১৬ সালের পর থেকে কর্মক্ষেত্রে দেশটিতে নারীদের অংশগ্রহণ দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ১৭ শতাংশ থেকে ৩৭ শতাংশ হয়েছে।
এর আগেও সৌদি নাগরিকের মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে । ১৯৮৫ সালে যুবরাজ সুলতান বিন সালমান বিন আব্দুলআজিজ প্রথম আরব মুসলিম হিসেবে মহাকাশে যান, তবে সেটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের একটি মিশন।