করোনা মহামারিসহ নানা কারণে জন্মহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রদের কাছ থেকে শুক্রাণু কিনছে চীনের অনেক চিকিৎসাকেন্দ্র।
সম্প্রতি বেইজিং ও সাংহাইসহ আরও অনেক অঞ্চলের বেশকিছু ক্লিনিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে পোস্ট দিয়েছে বলে সাইথ চায়না মনিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ছাত্রদের হাতখরচ এবং দেশের স্বার্থে কাজ, দুই-ই হবে- দাবি করে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশের একটি স্মার্ম ব্যাঙ্ক উইবোতে প্রথম একটি পোস্ট দেয়। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষের নজরে এসেছে বিষয়টি।
ওই বিজ্ঞাপনের পর আরও অনেক অঞ্চলের চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোও একই ধরনের আবেদন জানায়। একেক স্মার্ম ব্যাংক একেক ধরনে শর্ত দিয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠাইন নগদ অর্থে শুক্রাণু কেনার কথা বলেছে।
ইউনান স্মার্ম ব্যাংক বলেছে, শুক্রাণুদাতাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যারা যোগ্য হবেন তারা ৬৬৪ ডলার করে পাবেন। সাংহাই প্রদেশের একটি ব্যাংক জানিয়েছে, দাতাদের উচ্চতা হতে হবে ১৬৮ সেন্টিমিটার। বিনিময়ে ৭৩৪ ডলার দেয়ার কথাও ঘোষণা করেছে তারা।
চীনে জনসংখ্যার হার এমনভাবে হ্রাস পেয়েছে যে, কিছু দিন আগেই সে দেশের ‘দুই সন্তান নীতি’ আইন তুলে দেয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমেছে ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো। বিষয়টিকে একটি দীর্ঘ সময় ধরে দেশটির নাগরিকের সংখ্যা কমতে থাকার ঐতিহাসিক সূচনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এর মধ্যদিয়ে ১৯৬১ সালের পর সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা কমে যাওয়ার ঘটনা ঘটে চীনে। ওই বছরটি ছিল দেশটির মহা দুর্ভিক্ষের শেষ বছর।
গত ১৭ জানুয়ারি চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, ২০২২ সালের শেষে দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার কমে ১৪১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজারে পৌঁছেছে।