ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় টুনা মাছের ১০ লাখ ক্যান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সোলিহ শুক্রবার এ ঘোষণা দেন বলে মালদ্বীপভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক মুখপাত্র সানকে জানান, মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে সোলিহ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা বাস্তবায়নের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রেসিডেন্ট সোলিহ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের কাছে তার শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। তিনি ভূমিকম্পে দুর্গতদের সহায়তায় সম্ভাব্য সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মালদ্বীপ থেকে পাঠানো টুনার ক্যানগুলোর পাঁচ লাখ করে পাবে তুরস্ক ও সিরিয়া।
গত সোমবার তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি এলাকার ২৩ কিলোমিটার পূর্বে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার গভীরতা ২৪.১ কিলোমিটার। এ ভূমিকম্পের পর ১২৫টির বেশি ছোট ছোট কম্পন হয়।
এতে দুই দেশে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২০ হাজার ২১৩ জনে। অন্যদিকে সিরিয়ায় মৃত্যু হয় ৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষের।
জাতিসংঘ বলেছে, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সিরিয়ায় গৃহহীন হয়ে থাকতে পারে ৫৩ লাখ মানুষ।
সংস্থাটি আরও বলেছে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় রান্না করা খাবার দরকার প্রায় ৯ লাখ মানুষের।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটিতে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায়ও মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমোদন দিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকার।
তুরস্কের পক্ষ থেকে বলা হয়, সিরিয়ায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছানোর লক্ষ্যে আরও দুটি রুট তৈরির কাজ করছে দেশটি।
দুই দেশেই উদ্ধারের ক্ষেত্রে অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ার ১০০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে অনেককে।