তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ হাজারের বেশি হয়েছে।
দেশ দুটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে তুরস্কে কমপক্ষে ১২ হাজার ৩৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২ হাজার ৯৯২ জনের।
এমন বাস্তবতায় উদ্ধার তৎপরতায় অবহেলার কথা স্বীকার করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভূমিকম্পের তিন দিন পরও মাথা গোঁজার ঠাঁই হচ্ছে না হাজার হাজার পরিবারের। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত শহর গাজিয়ানটেপে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা কমে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে।
ভয়ে কিংবা নিষেধের কারণে ঘরে ফিরতে না পারা শহরটির অনেক বাসিন্দাকে গাড়িতে কিংবা অস্থায়ী তাঁবুতে রাত কাটাতে হয়েছে।
দুই বছরের মেয়েকে কম্বলে জড়িয়ে রাখা মেলেক হালিসি নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘বসে থাকাটা বেদনাদায়ক। কারণ আমার ভয় লাগে, কেউ হয়তো এই কংক্রিটের নিচে চাপা পড়ে আছে।
‘একপর্যায়ে আমাদের তাঁবুতে যেতে হবে, কিন্তু আমি তা চাই না। আমি শীত সইতে পারছি না। আবার ফ্ল্যাটে যাওয়ার কথাও ভাবতে পারছি না।’
উদ্ধারে অবহেলা স্বীকার
স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে ওপরের সারিতে থাকা কাহরামানমারাসে বুধবার যান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। সেখানে সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, উদ্ধার তৎপরতায় অবহেলা ছিল কি না। জবাবে এরদোয়ান বলেন, ‘অবশ্যই অবহেলা আছে।’
তিনি আরও বলেন, এ মাপের দুর্যোগের জন্য আগে থেকে প্রস্তুত থাকা সম্ভব নয়।