বিধ্বস্ত তুরস্কে আবারও এক শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে; বহু মরদেহ উদ্ধারের মধ্যেই আঘাত হানা এ ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ দশমিক ৫।
মঙ্গলবার রাত সোয়া ৩টার দিকে দেশটির গোলবছি শহরের ছয় কিলোমিটার দূরে ভূঅভ্যন্তর এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সিএনএন বলছে, সোমবার ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর তুরস্কে দিনভর অন্তত ১০০টি ‘আফটার শক’ হয়েছে।
এদিকে তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ৪ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে মঙ্গলবার সকালে বিবিসি জানায়, তুরস্কের জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা ২৯২১ মরদেহ উদ্ধারের তথ্য দিয়েছে। এ দেশে আহত হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৩৪ জন। আর সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৫১।
সবমিলিয়ে এ দুই দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৩৭২ জনে। তুরস্কে প্রায় আট হাজার মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দেশজুড়ে ধসে গেছে অন্তত ৪ হাজার ৭৪৮টি ভবন।
সিএনএন জানিয়েছে, উদ্ধার তৎপরতা চলছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। অনেক মানুষকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। উদ্ধারকাজে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।স্থানীয় সময় সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে, যার উৎপত্তিস্থল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) সংস্থার তথ্যমতে, প্রথমে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এরপর অন্তত ১০০ বার কেঁপে ওঠে (আফটার শক) এ দুই দেশ।
তবে এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল সোমবার দুপুর দেড়াটার দিকে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি। এর উৎপত্তিস্থল ছিল তুর্কির কাহরামানমারাস শহর।সর্বশেষ তুরস্কে ১৯৩৯ সালের ডিসেম্বরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, যাতে ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।