প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে চিৎকার করছে তুরস্কের অনেক মানুষ; তবে তাদের উদ্ধার করতে কাছে যেতে পারছেন না কেউ।
বৃষ্টি, অতি ঠান্ডা ও তুষারপাতে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মঙ্গলবার হাতয় প্রদেশের বাসিন্দা ডেনিজ বৃষ্টির মধ্যে কাঁদতে কাঁদতে রয়টার্সকে উদ্ধারকারীদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক অপেক্ষার কথা বর্ণনা করছিলেন। তিনি বলেন, ‘তারা চিৎকার করছে। কিন্তু কেউ তাদের কাছে যেতে পারছে না।’
ডেনিজ বলেন, ‘আমরা বিধ্বস্ত। হে ঈশ্বর... তারা ডাকছে। তারা বলছে, আমাদের বাঁচাও, কিন্তু আমরা তাদের বাঁচাতে পারছি না। সকাল থেকে কাউকে উদ্ধার করা যায়নি।’
স্থানীয় সময় সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে, যার উৎপত্তিস্থল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) সংস্থার তথ্যমতে, প্রথমে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এরপর অন্তত ৭৭ বার কেঁপে ওঠে (আফটার শক) এ দুই দেশ।
তবে এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল সোমবার দুপুর দেড়াটার দিকে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি। এর উৎপত্তিস্থল ছিল তুর্কির কাহরামানমারাস শহর।
এতে এখনও পর্যন্ত ৪ হাজার ৩০০ মানুষের প্রাণ যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর আগে সর্বশেষ তুরস্কে ১৯৩৯ সালের ডিসেম্বরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, যাতে ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।