আকস্মিক পদত্যাগের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা নিয়ে কোনো অনুশোচনা নেই নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের। বরং এই ঘোষণা দেয়ার দিন রাতে সবচেয়ে ভালো ও লম্বা একটা ঘুম ঘুমিয়েছেন তিনি।
সমর্থক ও সমালোচনাকারীদের হতভম্ব করে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানানোর পরদিন শুক্রবার নেপিয়ারের এক বিমানবন্দরের বাইরে সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়েছিলেন জেসিন্ডা।
তার ভাষ্য, তিনি দুঃখ থেকে ‘স্বস্তির অনুভূতি’ পাচ্ছেন। আবেগও অনুভূত হচ্ছে। কোনো অনুশোচনা হচ্ছে না। জেসিন্ডা বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের পর দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো লম্বা ঘুম ঘুমিয়েছি।’
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘নেতৃত্বে থাকা নারীদের এবং ভবিষ্যতে নেতৃত্বে যাওয়ার কথা বিবেচনা করা মেয়েদের জন্য একটি বার্তা হলো, আপনার একটি পরিবার থাকতে পারে এবং সেখানে ভূমিকা থাকতে পারে। আপনি নিজের মতো করে নেতৃত্ব দিতে পারেন।’
এ সময় বেশ ফুরফুরে দেখা যায় ৪২ বছর বয়সী এই রাজনৈতিক নেতাকে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন জেসিন্ডা। এর পরপরই আলোচনা শুরু হয়েছে, কে আসছেন এই প্রধানমন্ত্রীর উত্তরসূরি হিসেবে।
এনডিটিভি বলছে, ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির পরবর্তী নেতা নির্বাচনে ভোট হবে আগামী রোববার। এই নেতাই পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর পদে। ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকবেন জেসিন্ডা। আর ১৪ অক্টোবর দেশটিতে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৭ সালে প্রথম নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন জেসিন্ডা। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৩৭ বছর। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিউজিল্যান্ডের দায়িত্ব নেন।
পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার সময় কান্না চেপে রেখে জেসিন্ডা বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কঠিন সাড়ে পাঁচ বছর পার করেছেন। তিনিও মানুষ; তার সময় এসেছে সরে দাঁড়ানোর।