বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১১৫ বছরে কখনোই হাসপাতালে যাননি তিনি!

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৮:৩৫

বর্তমানে স্পেনে একটি বৃদ্ধাশ্রমে থাকছেন মারিয়া। ২০১৯ সালে ১১৩তম জন্মদিনের কয়েক সপ্তাহ পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও হাসপাতালে যেতে হয়নি তাকে।

১১৫ বছর বয়সী মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরা। গত মঙ্গলবার ১১৮ বছর বয়সে ফরাসি লুসিল রাঁদোঁর মৃত্যুর পর তাকে বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ হিসেবে ভাবছে গিনেক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ। যদিও এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি সংস্থাটি। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, জীবদ্দশায় এক দিনের জন্যও হাসপাতালে যেতে হয়নি মারিয়াকে। ১১৫ বছরের জীবনে ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারি, দুই বিশ্বযুদ্ধ এবং স্পেনের গৃহযুদ্ধ ও করোনাভাইরাসের মহামারির সাক্ষী হয়েছেন তিনি।

মারিয়ার পূর্বপুরুষরা স্পেনের বাসিন্দা হলেও তার জন্ম আমেরিকায়। ১৯০৭ সালের শুরুর দিকে তার বাবা-মা মেক্সিকো থেকে আমেরিকায় চলে আসেন। ওই বছরেই ৪ মার্চ সান ফ্রান্সিসকোতে জন্ম হয় মারিয়ার।

১৯১৫ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মারিয়ার পরিবার স্পেনে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। জাহাজে আমেরিকা থেকে স্পেন যাওয়ার পথে মারিয়ার বাবা যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সমুদ্রে ফেলে দেয়া হয়েছিল তার মৃতদেহ।

১৯৩১ সালে মারিয়া একজন চিকিৎসকে বিয়ে করেন। চার দশকের বেশি একসঙ্গে থাকার পর তার স্বামী ৭২ বছর বয়সে মারা যান। মারিয়া তিন সন্তানের মা, যদিও একজন মারা গেছেন। এ ছাড়া ২২ জন নাতি-পুতি রয়েছে মারিয়ার।

মারিয়ার ছোট মেয়ে ৭৮ বছর বয়সী রোসা মোরেট বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, তার মা জীবনে কোনো দিন হাসপাতালে যাননি। একেবারে ঠিক আছেন। ‘জিনগত’ কারণেই মারিয়া দীর্ঘজীবী হয়েছেন বলে মনে করেন তিনি।বর্তমানে স্পেনে একটি বৃদ্ধাশ্রমে থাকছেন মারিয়া। ২০১৯ সালে ১১৩তম জন্মদিনের কয়েক সপ্তাহ পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও হাসপাতালে যেতে হয়নি তাকে।

২০১৯ সালে বার্সেলোনাভিত্তিক একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মারিয়া বলেছিলেন, ‘আমি আহামরি কিছু করিনি। শুধু প্রাণবন্ত থাকার চেষ্টা করেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর