পার্বত্য অঞ্চল ও বিপজ্জনক রানওয়ের কারণে নেপালে প্রায়ই উড়োজাহাজ নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় পাইলটদের। সর্বশেষ রোববার ৭২ আরোহী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। এটি ছাড়াও দেশটিতে গত এক যুগে ১১টি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ঘটেছে, যাতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ, অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের কারণে নেপালের বিমান পরিবহন খাত দুর্ঘটনায় জর্জরিত।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের মে মাসে নেপালে তারা এয়ারের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ২২ আরোহীর সবাই নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ১৬ জন নেপালের, ৪ জন ভারতের ও ২ জন জার্মানির নাগরিক ছিলেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল এভারেস্ট পর্বতের কাছের একটি রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের সময় ছিটকে একটি ছোট উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। এতে তিনজন নিহত ও তিনজন আহত হন। ২০১৮ সালের ১২ মার্চে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৫১ জন আরোহী নিহত হন। এটি ছিল নেপালের কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা।
২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নেপালের মায়াগদি জেলার পার্বত্য এলাকায় তারা এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ২৩ জন নিহত হন
নেপালের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা নেপাল এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ আরঘাখাঞ্চি জেলায় ২০১৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৮ জন নিহত হন।
২০১২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর নেপালের রাজধানীর কাছে একটি উড়োজাহাজে আগুন লেগে যায়। এ দুর্ঘটনায় বিমানটিতে থাকা ১৯ আরোহী নিহত হন। ওই বছরের ১৪ মে উত্তর নেপালের জোমসম বিমানবন্দরে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের বহনকারী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হলে ১৫ জন নিহত হন। এ দুর্ঘটনায় ছয়জন প্রাণে বাঁচেন।
- আরও পড়ুন: নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৬৭
২০১১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নেপালের কাঠমান্ডুতে পর্যটকবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়, এতে ১৯ জন নিহত হন। এর আগের বছরের ১৫ ডিসেম্বর নেপালের পূর্বাঞ্চলে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ২২ জন নিহত হন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ভুটানের তীর্থযাত্রী ছিলেন।
ওই বছরের ২৪ আগস্ট কাঠমান্ডুর কাছে খারাপ আবহাওয়ায় একটি ছোট উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ১৪ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে আমেরিকান, জাপানি ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ছিলেন।