বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নেতানিয়াহুর সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ফুঁসেছে ইসরায়েল

  •    
  • ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:০৭

পুলিশের বরাত দিয়ে ইসরায়েলের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, শীত ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে দেশটির অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত প্রাণকেন্দ্র তেল আবিবের হাবিমা স্কয়ারে জড়ো হন কমপক্ষে ৮০ হাজার মানুষ।

বিচার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা খর্ব করতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের তিনটি শহরে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ।

স্থানীয় সময় শনিবার তেল আবিব, জেরুজালেম ও হাইফা শহরে এ বিক্ষোভ হয় বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভকে নেতানিয়াহু ও তার কট্টর ডানপন্থি নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ কিংবা ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে রাস্তায় নামলে কড়া ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন নিরাপত্তামন্ত্রী।

পুলিশের বরাত দিয়ে ইসরায়েলের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, শীত ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে দেশটির অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত প্রাণকেন্দ্র তেল আবিবের হাবিমা স্কয়ারে জড়ো হন কমপক্ষে ৮০ হাজার মানুষ।

বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে ছিল ছাতা, যারা ‘দুর্বৃত্ত সরকার’, ‘গণতন্ত্রের সমাপ্তি’র মতো বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যায়, বেন-গভিরের হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে সড়কে নামেন অল্প কিছু বিক্ষোভকারী।

তেল আবিবের উপকণ্ঠ হেরজলিয়ায় বিক্ষোভে অংশ নেয়া আসাফ স্টেইনবার্গ বলেন, ‘তারা (নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা) ইসরায়েলি গণতন্ত্রের রক্ষাকবচগুলো ধ্বংসের চেষ্টা চালাচ্ছে এবং আমরা ইসরায়েলি গণতন্ত্রকে বাঁচাতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।’

বিক্ষোভের নেপথ্যে

দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় বিচারের মধ্যে থাকা নেতানিয়াহু বিচার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর বিষয়টিকে তার কার্যতালিকার কেন্দ্রে রেখেছেন।

মাত্র দুই সপ্তাহের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা তার ডানপন্থি সরকার সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত উল্টে দিতে পার্লামেন্টকে শক্তিশালী করার প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, পার্লামেন্টে কোনো দলের সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও আইনপ্রণেতারা সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজেদের দাবি বাস্তবায়ন করতে পারবেন।

বিচারক নিয়োগে পার্লামেন্টের আধিপত্যের পাশাাপাশি আইন উপদেষ্টাদের স্বাধীনতা খর্বের পরিকল্পনাও নিয়েছে সরকার।

নেতানিয়াহুর আইনমন্ত্রীর ভাষ্য, অনির্বাচিত বিচারকরা অনেক বেশি ক্ষমতা ভোগ করছেন।

সরকারের উল্লিখিত পরিকল্পনার বিরোধিতাকারীরা বলছেন, প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলোর বাস্তবায়ন ইসরায়েলের গণতন্ত্রকে ব্যাহত করবে।

দেশটির বিরোধী বিভিন্ন দলের নেতা, সাবেক একাধিক অ্যাটর্নি জেনারেল ও ইসরায়েল সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর