ভারতের দক্ষিণ দিল্লির ফ্ল্যাটে আফতাব পুনাওয়ালা করাত দিয়ে তার দাম্পত্যসঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়াকারের মরদেহ টুকরা করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শ্রদ্ধার হাড়ের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বাহিনীটি এ কথা জানিয়েছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডিএনএ পরীক্ষার ফল অনুযায়ী, দিল্লির মেহরুলির ঝোপঝাড় ও গুরুগ্রামে আফতাব পুলিশকে যে হাড়ের সন্ধান দেন, সেগুলো শ্রদ্ধার।
ওই নারীর বাবার ডিএনএ নমুনা নিয়ে দিল্লিতে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে পরীক্ষা চালানো হয়। এতে ফ্ল্যাটে যে রক্তের চিহ্ন পাওয়া যায়, তার সঙ্গে শ্রদ্ধার হাড়ের ডিএনএ নমুনা মিলে যায়।
গত বছরের ১৮ মে মেহরুলি এলাকার ভাড়া বাসায় আফতাব তার দাম্পত্যসঙ্গী শ্রদ্ধাকে হত্যা করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাহিনীটির ভাষ্য, শ্রদ্ধার দেহকে ৩৫ টুকরা করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় কয়েক দিন ধরে ফেলেন এ তরুণ।
বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, হত্যায় ব্যবহৃত করাত ও ব্লেড গুরুগ্রামের ঝোপঝাড়ে এবং দক্ষিণ দিল্লির ডাস্টবিনে ফেলেন আফতাব।
এ অপরাধ নজরে আসে গত বছরের অক্টোবরে শ্রদ্ধার রাজ্য মহারাষ্ট্রে পুলিশের কাছে তার বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে।
ভিন্ন ধর্মের কাউকে বিয়ে করায় শ্রদ্ধার ওপর নাখোশ ছিলেন তার বাবা, যে কারণে দীর্ঘদিন মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখেন তিনি।
ডেটিং অ্যাপে পরিচয়ের পর আফতাবকে বিয়ে করে মুম্বাইয়ের কাছে ভাসাইয়ে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন শ্রদ্ধা। গত বছরের মে মাসে দিল্লিতে যূথবদ্ধ বসবাস শুরু হয় তাদের।
২৮ বছর বয়সী আফতাব গত বছরের নভেম্বর থেকে পুলিশের হেফাজতে। চলতি মাসের শেষের দিকে হত্যা মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিতে পারে পুলিশ।