মিয়ানমার ছাড়ার চেষ্টা করায় ১১২ রোহিঙ্গাকে কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরাবতি অঞ্চলের বোগালে শহরের একটি আদালত গত ৬ জানুয়ারি ১১২ জন রোহিঙ্গার কারাদণ্ড দেয়। কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়া একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। কারাদণ্ড পাওয়াদের মধ্যে ১২ শিশু রয়েছে, যাদের মধ্যে পাঁচজনের বয়স ১৩ বছরের কম। এদের দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাকি শিশুরা তিন বছরের কারাদণ্ড পেয়েছে। এ ছাড়া প্রাপ্তবয়স্কদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষজনকে নিজেদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না মিয়ানমার। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।
যেসব রোহিঙ্গা মিয়ানমারে রয়ে গেছেন, তাদের মধ্যে অনেককেই কঠোর নজরদারির মধ্যে ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে।
উন্নত জীবনযাপনের আশায় মিয়ানমার ও বাংলাদেশের ক্যাম্পগুলোতে বসবাসরত রোহিঙ্গারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট নৌকায় করে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার উপকূল থেকে ১৮৫ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়।