ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যার পর দু টুকরো করে পানিতে ভাসিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে তিস্তার খাল থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে আভিযুক্ত মো. আনসারুলকে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তিস্তার পানিতে উদ্ধারকারী বাহিনী নামিয়েও রেনুকা খাতুনের মরদেহ না পাওয়ায় ফুলবাড়ি তিস্তা ক্যানালের লকেট বন্ধ করে দেয়া হয়।
খালের পানি নেমে গেলে শুক্রবার শিলিগুড়ির গোয়ালটুলির সুদামগঞ্জে প্রথমে বস্তাবন্দি দেহ, পরে রেনুকার কাটা মাথা উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ কুমার চতুর্বেদী জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে।
পেশায় রংমিস্ত্রি মো. আনসারুলের সঙ্গে রেনুকা খাতুনের বিয়ে হয় বছর সাতেক আগে। শিলিগুড়ির ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করতেন তারা। শিলিগুড়ির কলেজ পাড়ার একটি পার্লারে বিউটিশিয়ানের কাজ শিখতে যেতেন রেনুকা। গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে তার খোঁজ না পাওয়ায় পরিবারের পক্ষে ২৪ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি থানায় এ নিয়ে নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
পুলিশ রেনুকা খাতুনের স্বামী আনসারুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রেনুকাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে আনসারুল রেনুকাকে ফাঁসি দেওয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর দেহ থেকে মাথা কেটে আলাদা করে। বস্তাবন্দি দেহ তিস্তার খালের পানিতে ভাসিয়ে দেয়।
জানা গেছে, স্ত্রী রেনুকা খাতুন অন্য কোনো সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে আনসারুল তাকে সন্দেহ করতেন। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগে থাকতো।
অবশ্য রেনুকার বোনের স্বামী মো. মিয়াতুল্লা বলেন, ‘আমার শ্যালিকার কোনো বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল না । উল্টো খুনি আনসারুল বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে ছিল।
‘আমার শ্যালিকা চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। আগে থেকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল। ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে। আনসারুলের ফাঁসি চাই।’