ভারতের দিল্লিতে প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় স্কুটিচালক এক তরুণী নিহত হয়েছেন। রাজধানীর সুলতানপুরীতে রোববার শেষরাতের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে গাড়ির ৫ আরোহীকে।

নিহত তরুণীর নাম অঞ্জলি। তার বয়স ২০ বছর।

পুলিশ জানায়, ধাক্কায় স্কুটি থেকে পড়ে গাড়ির নিচে চলে যান অঞ্জলি। পরে গাড়িটি প্রায় ১২ কিলোমিটার হিঁচড়ে নেয় অঞ্জলিকে।

‘মারুতি সুজুকি ব্যালেনো গাড়িতে পাঁচজন ছিলেন। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহকারী এজেন্ট, একজন চালক এবং একজন মুদি দোকানের মালিক।

‘স্কুটিকে ধাক্কা দেয়ার পর গাড়িটি ১০-১২ কিমি চলে গিয়েছিল। অঞ্জলির শরীরের কিছু অংশ গাড়ির নিচে কিছুর সঙ্গে আটকে গিয়েছিল।’

অন্যদিকে অঞ্জলির পরিবারের দাবি, হত্যার আগে তাকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে।

অঞ্জলির মা রেখা অভিযোগ করে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় জামাকাপড় এভাবে ছিঁড়ে যায় না। আমরা যখন ওকে খুঁজে পাই, তখন তার পুরো শরীর নগ্ন ছিল। আমি পূর্ণ তদন্ত ও বিচার চাই।’

অঞ্জলির মামা প্রেম সিং বলেন, ‘আমার বড় বোনকে (অঞ্জলির মা) সকাল ৭টায় ফোনে কেউ একজন জানায় যে অঞ্জলি একটি দুর্ঘটনায় পড়েছে। তার দেহ সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালের পোস্টমর্টেম রুমে রয়েছে।

‘পরে আমার বোনকে থানায় ডাকা হয়। গাড়ি ও স্কুটি থানায় থাকলেও পুলিশ তাকে কোথায় পেয়েছে, তা বলেনি। গাড়ি ও স্কুটি যেখানে রাখা ছিল, সে জায়গাটা রক্তে ভেসে যাচ্ছিল।

‘এটি নির্ভয়া মামলার মতো। পুরুষরা আমাদের মেয়ের সঙ্গে খারাপ কিছু করার চেষ্টা করেছিল। আমি বিচার চাই।’

সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, ভোর ৩টা ২৪ মিনিটে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে একটা কল আসে। বলা হয়, একটি গাড়ি একটি মরদেহ টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ভোর ৪টা ১১ মিনিটের দিকে রাস্তার ওপর এক নারীর মরদেহ পড়ে থাকার বিষয়ে পুলিশ আরেকটি ফোন পায়। এরপর পুলিশ পিকেটে মোতায়েন অফিসারদের সতর্ক করে এবং গাড়ির সন্ধান শুরু করে।

অঞ্জলি আমন বিহারের বাসিন্দা ছিলেন। মা, চার বোন এবং দুই ভাই রেখে গেছেন তিনি। ভাই-বোনদের মধ্যে সবার বড় ছিলেন অঞ্জলি। তার বাবা মারা গেছেন কয়েক বছর আগে।

দিল্লি পুলিশ অফিসার হরেন্দ্র কে সিং বলেন, ‘পুলিশ রেজিস্টার্ড গাড়ির নম্বরের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, তাদের গাড়িটির সঙ্গে স্কুটির সংঘর্ষ হয়েছিল। কিন্তু তারা জানত না যে স্কুটির চালককে গাড়ির সঙ্গে কয়েক কিলোমিটার টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’

দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতি মালিওয়াল বলেছেন, ‘গাড়িতে থাকা পুরুষরা মাতাল ছিলেন বলে জানা গেছে।

‘বিষয়টি খুবই বিপজ্জনক। ঘটনার বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার জন্য আমি দিল্লি পুলিশকে তলব করব। পুরো সত্য বেরিয়ে আসা উচিত।’

পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচজনের অ্যালকোহল এবং ড্রাইভিং পরীক্ষা করা হচ্ছে। চালকের কতটুকু দোষ ছিল, তা তদন্ত করা হচ্ছে।

दिल्ली के कंझावला में एक लड़की की नग्न अवस्था में लाश मिली, बताया जा रहा है कि कुछ लड़कों ने नशे की हालत में गाड़ी से उसकी स्कूटी को टक्कर मारी और उसे कई किलोमीटर तक घसीटा। ये मामला बेहद भयानक है, मैं दिल्ली पुलिस को हाज़िरी समन जारी कर रही हूँ। पूरा सच सामने आना चाहिए।