ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের পারমাণবিক স্থাপনার তালিকা বিনিময় করেছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। তারা বলেছে, ‘এক দশকের পুরনো চুক্তির আওতায় ইসলামাবাদে ভারতীয় মিশনের কাছে পারমাণবিক স্থাপনার একটি তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে। নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি মিশনের কাছেও এ ধরনের তালিকা দিয়েছে ভারত।
‘তালিকাটি প্রতি বছর ১ জানুয়ারি আদান-প্রদান করা হয়। এটি ১৯৯২ সাল থেকে চলছে।’
প্রতিবেশী দুই পারমাণবিক সশস্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ইতোমধ্যে তিনবার সরাসরি যুদ্ধ জড়িয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশ দুটির মধ্যে কয়েকটি সামরিক সংঘর্ষ হয়েছে। গত বছর ভারতীয় একটি মিসাইল ‘ভুলবশত’ পাকিস্তানে মাটিতে আঘাত হেনেছিল; এতে বিশ্বজুড়ে শঙ্কার ঘণ্টা বেজে উঠে।
বার্ষিক এই তথ্য আদান-প্রদান এমন সময়ে হয়েছে, যখন দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রায় নেই বললেই চলে। এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তান প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯৮ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। তারপর থেকে ভারতের মতো পারমাণবিক মিসাইলের মজুদ বাড়িয়ে চলেছে পাকিস্তান। চীনের সহায়তায় পাকিস্তান সম্প্রতি বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার বাড়িয়েছে।
এদিকে আরেকটি বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দুই দেশ কারাগারে বন্দি একে অপরের নাগরিকদের একটি তালিকাও বিনিময় করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তালিকায় পাকিস্তানে বন্দি ৭০৫ ভারতীয় রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫১ জন বেসামরিক নাগরিক। বাকিরা জেলে।
এতে আরও বলা হয়, ভারতে ৪৩৪ পাকিস্তানি বন্দির তালিকা দিয়েছে দিল্লি। তাদের মধ্যে ৩৩৯ জন বেসামরিক নাগরিক। ৯৫ জন জেলে।
পাকিস্তান তার সাজা শেষ হয়ে যাওয়া ৫১ বেসামরিক বন্দি এবং ৯৪ জেলের দ্রুত মুক্তি ও প্রত্যাবাসনের অনুরোধ করেছে। আর ৫৬ জন বেসামরিক বন্দির জন্য বিশেষ কনস্যুলার অ্যাক্সেসের অনুরোধ করেছে ইসলামাবাদ।
সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করে প্রায়ই দুই দেশের জেলেরা একে অন্যের সীমানায় মাছ ধরতে ঢুকে পরে। তখন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।