বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বছরে গড়ে ৮০ সাংবাদিক খুন হন: আরএসএফ

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৮:০২

আরএসএফ মহাসচিব ক্রিস্টোফ ডেলোয়ার বলেন, ‘ব্যক্তিত্ববান, প্রতিভাবান এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্যক্তিরা তথ্য সংগ্রহ, সত্যের সন্ধান এবং সাংবাদিকতার প্রতি তাদের আবেগের মূল্য জীবন দিয়ে পরিশোধ করেছেন।’

গত ২০ বছরে বিশ্বজুড়ে অন্তত এক হাজার ৭০০ সাংবাদিক খুন হয়েছেন। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)-এর একটি বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে এসেছে। এই হিসাবে বছরে গড়ে ৮০ জনের বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা প্যারিসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বলছে, ২০০৩ থেকে ২০২২ সালের দুটি দশক তথ্যের অধিকারের পরিষেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য মারাত্মক সময় ছিল।’

আরএসএফ মহাসচিব ক্রিস্টোফ ডেলোয়ার বলেন, ‘ব্যক্তিত্ববান, প্রতিভাবান এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্যক্তিরা তথ্য সংগ্রহ, সত্যের সন্ধান এবং সাংবাদিকতার প্রতি তাদের আবেগের মূল্য জীবন দিয়ে পরিশোধ করেছেন।’

আল জাজিরার টেলিভিশন সংবাদদাতা শিরিন আবু আকলেহ পশ্চিম তীরের জেনিনে একটি শরণার্থী শিবিরে সামরিক অভিযানের কভার করার সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হওয়ার ৭ মাস পর এ প্রতিবেদনটি আসে। ১৯৯৬ সালে আল জাজিরা প্রতিষ্ঠার পর চ্যানেলটির ১২ সাংবাদিক খুন হয়েছেন।

সবচেয়ে বিপজ্জনক ইরাক-সিরিয়া

আরএসএফ বলছে, সাংবাদিক হিসেবে কাজ করার জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ হচ্ছে ইরাক এবং সিরিয়া। এই দুই দেশে গত ২০ বছরে ৫৭৮ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন; যা বিশ্বব্যাপী মোটের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি।

এই দুই দেশের পর রয়েছে মেক্সিকো, যেখানে ২০ বছরে খুন হয়েছেন ১২৫ জন সাংবাদিক। এ ছাড়া ফিলিপাইন ১০৭, পাকিস্তানে ৯৩, আফগানিস্তান ৮১ এবং সোমালিয়া ৭৮ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন দুই দশকে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমকর্মীর ৮০ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ১৫টি দেশে।

‘সিরিয়া যুদ্ধ তুঙ্গে থাকার কারণে ২০১২ এবং ২০১৩ সাল ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। ২০১২ সালে ১৪৪টি এবং তার পরের বছর ১৪২টি হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে।’

ভ্লাদিমির পুতিনের দায়

ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে ২০২২ সালে মৃত্যুর সংখ্যা আবার বেড়েছে। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ৫৮ জন সাংবাদিক তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় খুন হন। ২০২১ সালে সংখ্যাট ছিল ৫১।

প্রতিবেশী ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনে যুদ্ধ চলাকালীন ৮ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। যেখানে গত ১৯ বছরে দেশটিতে ১২ জন নিহত হয়েছিলেন।

রাশিয়ার পর সাংবাদিকদের জন্য ইউরোপের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ এখন ইউক্রেন। পুতিনের দেশে গত ২০ বছরে ২৫ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন।

আরএসএফ বলছে, ‘ভ্লাদিমির পুতিন রশিয়ার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে দেশটির সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপর পরিকল্পিত আগ্রাসন চলেছে।

‘এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটিতে ঘটে ২০০৬ সালের ৭ অক্টোবর। সাংবাদিক আনা পলিটকভস্কায়া ছিলেন পুতিনের ঘোর সমালোচক। পলিটকভস্কায়া রাশিয়ার বড় ধরনের দুর্নীতির খবর ফাঁস করেছিলেন। নিজের অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে চারবার গুলি করা হয় পলিটকভস্কায়াকে।’

সবচেয়ে মারাত্মক মহাদেশ আমেরিকা

বিশ্বব্যাপী যেসব এলাকায় সশস্ত্র সংঘাত হচ্ছে, সেখানে সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে আরএসএফ বলছে অন্যকথা।

‘যেসব দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো যুদ্ধ সংঘটিত হয় না সে দেশগুলোও সাংবাদিকদের জন্য খুব একটা নিরাপদ নয়। যেসব দেশ সাংবাদিক হত্যায় শীর্ষে আছে, সেগুলোর বেশিরভাগেই যুদ্ধ চলছে না।

‘আসলে, গত দুই দশকে ‘যুদ্ধের অঞ্চলের’ তুলনায় ‘শান্তির অঞ্চলে’ বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব সাংবাদিক সংগঠিত অপরাধ এবং দুর্নীতির তদন্ত করছিল।’

প্রায় অর্ধেক সাংবাদিক হত্যার জন্য আমেরিকায় দায়ী, মেক্সিকো, ব্রাজিল, কলম্বিয়া এবং হন্ডুরাস বেশিরভাগ মৃত্যুর জন্য দায়ী।

বছরে বিশ্বজুড়ে যতজন সাংবাদিক খুন হন তার অর্ধেক ঘটনা ঘটে আমেরিকায়। মহাদেশটির বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ড ঘটে মেক্সিকো, ব্রাজিল, কলম্বিয়া এবং হন্ডুরাসে।

আরএসএফ জানায়, আমেরিকা এখন স্পষ্টভাবেই সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক মহাদেশ।

এ বিভাগের আরো খবর