নতুন বছরে আরও অস্ত্র পরীক্ষা চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। দেশটির ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির বৈঠকে বুধবার সেনাবাহিনীর নতুন টার্গেট উন্মোচন করেন কিম জং উন। এতে আঞ্চলিক উত্তেজনার আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানায়, ওয়ার্কার্স পার্টির বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে বুধবার কোরিয়ান উপদ্বীপে ‘নতুন সৃষ্ট চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি’ এবং বৃহত্তর রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপ নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন কিম।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি বলছে, কিম ২০২৩ সালে ‘শত্রু-বিরোধী সংগ্রাম’ এবং আত্মরক্ষাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যও নির্ধারণ করেছেন।
‘কিম বৈদেশিক বিষয়ের নীতিগুলো এবং শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দিক-নির্দেশনা নির্দিষ্ট করেন। সার্বভৌম অধিকার এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য ওয়ার্কার্স পার্টি এবং সরকারকে অবশ্যই তা মেনে চলতে হবে।’
আত্মরক্ষার লক্ষ্য সম্পর্কে বিশদ কিছু জানা যায়নি। তবে কিমের মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে তিনি দেশের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে যাচ্ছেন।
বছরজুড়ে উত্তর কোরিয়ার একের পর এক মিসাইল পরীক্ষা, অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া... সব মিলিয়ে সিউল-পিয়ংইয়ং উত্তেজনার পারদ চরমে রয়েছে। সবশেষ সোমবার দক্ষিণের আকাশে উত্তরের ড্রোন ঢুকে পড়া নিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন প্রেক্ষাপটে পিয়ংইয়ংয়ে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করতে দেখা গেছে পিয়ংইয়ং-কে। এগুলো ২০২১ সালের গোড়ার দিকে ওয়ার্কার্স পার্টির কংগ্রেসে নেয়া ৫ বছরের পরিকল্পনায় অংশ ছিল।
এই পরিকল্পনার অধীনে তৈরি করা অস্ত্রের তালিকায় রয়েছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র, একটি নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল, হাইপারসনিক গ্লাইডিং ফ্লাইট ওয়ারহেড, পারমাণু বহনকারী সাবমেরিন এবং একটি সামরিক স্যাটেলাইট।
ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো বৈঠক চলবে।