বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় প্রস্তুত রাশিয়া

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:০৩

পুতিন বলেন, ‘আমরা গ্রহণযোগ্য সমাধানের বিষয়ে জড়িত প্রত্যেকের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে এটি তাদের ওপর নির্ভর করছে। আমরা কখনই আলোচনায় বসতে নিষেধ করিনি।’

ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িত সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে মস্কো প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, মস্কো চাইলেও কিয়েভ এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা আলোচনায় বসতে চাচ্ছে না। রুশ প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎকারটি রোববার প্রকাশিত হয়।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। এতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে মারাত্মক সংঘাত শুরু হয় ইউরোপে। বলা হচ্ছে, ১৬৬২ সালে ‘কিউবান মিসাইল ক্রাইসিসের’ পর থেকে পশ্চিমের মধ্যে মস্কোর সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ সূত্রপাত হয়েছে এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে।

ক্রেমলিন বলছে, তাদের সব দাবি অর্জন না হওয়া পর্যন্ত তারা লড়াই চালিয়ে যাবে। অন্যদিকে কিয়েভ বলছে, ইউক্রেনের মাটিতে একজন রুশ সেনা থাকা পর্যন্ত তারা বিশ্রাম নেবে না। শুধু তা-ই নয়, ইউক্রেনের কাছ থেকে ২০১৪ সালে কেড়ে নেয়া ক্রিমিয়া অঞ্চলও ফেরত চাইছে কিয়েভ।

সাক্ষাৎকারে রাশিয়া-১ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে পুতিন বলেন, ‘আমরা গ্রহণযোগ্য সমাধানের বিষয়ে জড়িত প্রত্যেকের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে এটি তাদের ওপর নির্ভর করছে। আমরা কখনই আলোচনায় বসতে নিষেধ করিনি।’

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস চলতি মাসে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বেশির ভাগ দ্বন্দ্ব আলোচনার মাধ্যমে শেষ হলেও, যুদ্ধ শেষ করতে রাশিয়ার আলোচনার বিষয়টিকে এখনও অতটা গুরুত্ব দেয়ার মতো ভাবছে না সিআইএ।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক বলছেন, ‘পুতিনকে বাস্তবে ফিরে আসতে হবে। তাকে স্বীকার করতে হবে রাশিয়াই কোনো আলোচনা চায় না।’

টুইটারে পোডোলিয়াক লেখেন, ‘রাশিয়া এককভাবে ইউক্রেনে আক্রমণ করেছে এবং নাগরিকদের হত্যা করছে। রাশিয়া আলোচনা চায় না, তারা দায়িত্ব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে।’

‘অন্য উপায় নেই’

পুতিন বলেছিলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া যা করছে তা একেবারেই সঠিক। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমারা রাশিয়াকে বিভিক্ত করার চেষ্টা করছে। ওয়াশিংটন অবশ্য এই অভিযোগ শক্তভাবেই অস্বীকার করে আসছে।

পুতিন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমরা সঠিক পথেই আছি। আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থ এবং আমাদের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করছি। আমাদের নাগরিকদের রক্ষা করা ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই।’

পশ্চিমের সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক বিরোধ বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে কি না, জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘আমি মনে করি না পরিস্থিতি এতটা বিপজ্জনক।’

পশ্চিমারা ২০১৪ সালে ময়দান বিপ্লবের সময় রাশিয়াপন্থী প্রেসিডেন্টের পতনের মাধ্যমে ইউক্রেনে সংঘাত শুরু করেছিল। সেই বিপ্লবের পরপরই ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া। শুধু তা-ই নয়, পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ান-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীরা ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।

‘আসলে এখানে মৌলিক বিষয় হলো আমাদের ভূ-রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নীতি; যাদের লক্ষ্য রাশিয়া। ঐতিহাসিক রাশিয়াকে বিভক্ত করা’...যোগ করেন পুতিন।

অন্যদিকে ইউক্রেন এবং পশ্চিমারা বলছে, পুতিন যে সাম্রাজ্যবাদী দখলদারিত্বের যুদ্ধ শুরু করেছে তার কোনো যুক্তি নেই। এতে ইউক্রেনজুড়ে দুর্ভোগ এবং মৃত্যু বপন করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর