রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি ডলার সহায়তা দান নয়, বরং একে বৈশ্বিক নিরাপত্তায় বিনিয়োগ হিসেবে দেখছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
স্থানীয় সময় বুধবার আমেরিকার কংগ্রেসে দেয়া ভাষণে তিনি এমন মত দেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর এটি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের প্রথম আমেরিকা সফর।
খাকি রঙের পোশাক পরে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে দেয়া ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনাদের সহায়তা দান নয়। এটি বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও গণতন্ত্রের জন্য বিনিয়োগ।’
ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা পাঠানো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থন থাকলেও এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রিপাবলিকানরা।
কংগ্রেসে দেয়া ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমেরিকানদের সঙ্গে কথা বলা আমার জন্য অনেক সম্মানের। ইউক্রেন ভেঙে পড়েনি; ইউক্রেন টিকে আছে। বৈশ্বিক স্নায়ুযুদ্ধে আমরা রাশিয়াকে পরাজিত করেছি।’
এদিকে হোয়াইট হাউসে বৈঠকে জেলেনস্কিকে ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়টি আশ্বস্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই সময় ইউক্রেনে নতুন করে ২০০ কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজে অনুমোদন দেন বাইডেন। একই সঙ্গে আরও সাড়ে ৪ হাজার কোটি ডলার সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ওই সময় জেলেনস্কি ওয়াশিংটনের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন সাংবাদিকদের জানান, তিনি যুদ্ধ নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই নিষ্ঠুর যুদ্ধ বন্ধ করার কোনো ইচ্ছা পুতিনের নেই।’
ইউক্রেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে কিয়েভকে পাঁচ হাজার কোটি ডলার মানবিক, আর্থিক ও নিরাপত্তা সহায়তা দিয়েছে, যা অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি।