পাকিস্তানে তালেবানের হাতে জিম্মি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্ধারে চলা অভিযান শেষ হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পুলিশ স্টেশন দখলকারী ৩৩ সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী অভিযানে নিহত হয়েছেন। মুক্ত করা হয়েছে সব জিম্মিকে।
আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্নু জেলার মঙ্গলবার এই অভিযান চালানো হয়।
জিম্মিকারীদের তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানসহ (টিটিপি) বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে রোববার তাদের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় ‘সন্ত্রাসীরা’।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ পার্লামেন্টে বলেন, ‘সকল জিম্মিকে মুক্ত করা হয়েছে। এক অফিসারসহ এসএসজি (বিশেষ বাহিনী)-এর ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন। দুজন হয়েছেন শহীদ।’
- আরও পড়ুন: পাকিস্তানে তালেবানবিরোধী অভিযান
সিনিয়র এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সব বিকল্প ব্যর্থ হয়েছে। সন্ত্রাসীরা নিরপরাধ মানুষদের মুক্ত করতে অস্বীকার করেছে। তাই আমরা শক্তি প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পাকিস্তান সরকার বলছে, সন্দেহভাজনরা আগেও সন্ত্রাসবাদের দায়ে আটক করা হয়েছিলেন। তারা জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার বিনিময়ে নিরাপদে আফগানিস্তানে যেতে চেয়েছিল।
প্রাদেশিক খাইবার পাখতুনখোয়া সরকারের মুখপাত্র মুহাম্মাদ আলী সাইফ বলেন, ‘উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে অন্তত আটজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা আছেন।
পাকিস্তানে ইসলামি আইনের কার্যকরের পাশাপাশি সরকারি হেফাজতে থাকা তাদের সদস্যদের মুক্তি নিশ্চিত এবং সাবেক উপজাতীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কমাতে সরকারকে বাধ্য করতে টিটিপি আবির্ভূত হয়েছিল।
গত মাসে সরকারের সঙ্গে আফগান তালেবানের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির সমাপ্তি ঘোষণা করার পর থেকে গোষ্ঠীটি পাকিস্তানজুড়ে হামলা বাড়িয়েছে।
জিম্মিদের উদ্ধারে এলিট ফোর্স মঙ্গলবার দুপুরের দিকে পুলিশ স্টেশনে অভিযান চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অভিযান চলার সময় বিস্ফোরণ এবং ভারী গুলিবর্ষণ শোনা গেছে।