পাকিস্তানে তালেবানের হাতে জিম্মি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্নু জেলার একটি আস্তানায় এ অভিযান চলছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, সশস্ত্র গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) হাতে জিম্মি কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে মুক্ত করতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত জেলায় অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।
জিম্মিদের উদ্ধার করা হয়েছে কী না তা এখনও অস্পষ্ট। রোববার তাদের জিম্মি করে টিটিপি।
নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে জানায়, নিরাপত্তা বাহিনী আস্তানাটি পুনরুদ্ধার করেছে। যদিও সেনাবাহিনী বা সরকার অভিযানের বিষয়ে এখনও কোনো বিবৃতি দেয়নি।
সূত্র জানায়, ছয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন বন্দী ওই আস্তানায় জিম্মি আছেন। তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ‘অপারেশনটি শেষ হওয়ার পথে। নিরাপত্তা বাহিনী কম্পাউন্ডে প্রবেশ করেছে।
‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শেষ হলে জিম্মি ও নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।’
বলা হচ্ছে, আস্তানাটিতে টিটিপির ২০ জন যোদ্ধা আছেন। আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবানের সঙ্গে যোগসাজশের জন্য তারা পাকিস্তানি তালেবান নামেও পরিচিত।
সিনিয়র এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সব বিকল্প ব্যর্থ হয়েছে। সন্ত্রাসীরা নিরপরাধ মানুষদের মুক্ত করতে অস্বীকার করেছে। তাই আমরা শক্তি প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে আল জাজিরার কামাল হায়দার বলেন, ‘নিরাপত্তা অভিযানের পর কম্পাউন্ড থেকে কালো ধোঁয়া বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।’
হায়দার বলেন, ‘টিটিপি যোদ্ধারা নিরাপদে আফগানিস্তান চলে যাওয়ার দাবি করছে।
‘তারা তাদের সঙ্গে জিম্মিদের নিয়ে যেতে চাইছে। তারা নিরাপদ এলাকায় গেলে জিম্মিদের ছেড়ে দেয়ার অঙ্গিকার করছে। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ সোমবার যোদ্ধাদের সঙ্গে অচলাবস্থা নিরসনের জন্য আলোচনা শুরু করেছে।’
পাকিস্তানে ইসলামি আইনের কার্যকরের পাশাপাশি সরকারি হেফাজতে থাকা তাদের সদস্যদের মুক্তি নিশ্চিত এবং সাবেক উপজাতীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কমাতে সরকারকে বাধ্য করতে টিটিপি আবির্ভূত হয়েছিল।
গত মাসে সরকারের সঙ্গে আফগান তালেবানের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির সমাপ্তি ঘোষণা করার পর থেকে গোষ্ঠীটি পাকিস্তানজুড়ে হামলা বাড়িয়েছে।