বহু বছর ধরে দাসপ্রথার মাধ্যমে নেদারল্যান্ডে মানুষ কেনা-বেচার যে সংস্কৃতি ছিল তার জন্য ক্ষমা চাইলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট।
রাজধানী হেগে দেশটির ন্যাশনাল আর্কাইভে এক বক্তব্যের সময় তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে সিএনএন।
মার্ক রুট বলেন, ‘শতাব্দি ধরে ডাচ রাষ্ট্রের কর্তৃত্বের অধীনে সবচেয়ে সম্ভাব্য ভয়ঙ্কর উপায়ে মানুষের মর্যাদা লঙ্ঘন করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অতীতের দাসত্ব প্রথা যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল এবং সেটা যে এখনও আছে ১৮৬৩ সালের পরের ডাচ সরকারগুলো তা বুঝতে ও স্বীকার করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’
ডাচ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমি ক্ষমা চাইছি।’
একসময় হাটে-বাজারে কেনাবেচা হতো মানুষ। দাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হতো তাদের। বহু বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে বিলুপ্তি ঘটে দাসপ্রথার। আর ডাচরা প্রায় ৬ লাখ আফ্রিকানকে প্রধানত ক্যারিবিয়ান এবং দক্ষিণ আমেরিকায় দাস হিসেবে কাজ করার জন্য পাচার করেছিল।
মার্ক রুট বলেন, ‘শতাব্দী ধরে ডাচ রাষ্ট্র এবং এর প্রতিনিধিরা দাসত্ব থেকে সুবিধা নিয়ে লাভবান হয়েছে। শতাব্দী ধরে ডাচ রাষ্ট্রের নামে মানুষকে পণ্যে পরিণত করা হয়েছিল, শোষণ করা হয়েছিল এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছিল।’
এই দাসপ্রথাকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ আখ্যা দিয়ে তার নিন্দা জানানো উচিত বলে মনে করেন তিনি।
ডাচ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন জীবিত কেউই ব্যক্তিগতভাবে দাসত্বের জন্য দায়ী নয়। তবে এটাও সত্য যে, ডাচ রাষ্ট্র ক্রীতদাস এবং তাদের বংশধরদের ভয়ানক দুর্ভোগের দায়ভার বহন করে।’