ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সামনে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝেড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য সরকারের সদর দপ্তর নবান্নে শনিবার অমিত শাহর সভাপতিত্বে ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলরের ২৫তম বৈঠক বসে। এতে আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল সীমান্ত সমস্যা।
বিএসএফের ডিজি পঙ্কজ কুমার সিং বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর চৌকি তৈরি করতে ২০ একর জায়গা লাগবে, কিন্তু রাজ্য সহযোগিতা করছে না বলে সেই কাজ সম্পন্ন হচ্ছে না।’
জবাবে মমতা বলেন, ‘২০ একর জমি! এত জমি লাগবে কেন? আমরা তো ৫ একর জায়গায় হাসপাতাল বানিয়ে ফেলি।’
এ বিষয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘রাজ্য সরকার এবং বিএসএফ আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান করুক। নিয়ম অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণ করুক রাজ্য সরকার। আর কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে কাঁটাতার লাগানোর ব্যবস্থা করবে।’
বৈঠকে বিএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছে বিএসএফ। এতে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও বিএসএফের নিষ্ক্রিয়তায় চোরাচালান বাড়ছে।
‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। রাজ্যের প্রশাসনিক কাজে বাধা দিচ্ছে তারা, যার ফলে রীতিমতো সমস্যা তৈরি হচ্ছে।’
জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্ব যতটা বিএসএফের, ততটা রাজ্যের। কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছে।’
বিএসএফের কাজের পরিধি ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করায় কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিরোধ শুরু হয়। বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার, চোরাচালানের মতো সমস্যা নিয়েও কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে দোষারোপ চলতে থাকে। রাজনীতির ময়দানেও তার আঁচ এসে পড়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবারও বিষয়টি সামনে চলে এলো।