আগামী বছর অনুষ্ঠেয় মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে চাঙা করতে ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে রাজ্যটিতে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসপ্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্বাচন কমিশনের সূচি অনুযায়ী ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে পৌঁছে সোমবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি পরিদর্শনে যাবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার শিলংয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি মিলনায়তনে কর্মিসভা করবেন তিনি।
বিধানসভা নির্বাচনে অংশ না নিয়েও তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। কংগ্রেস ভেঙে মুকুল সাংমাসহ ১১ বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেয়ায় মেঘালয় বিধানসভায় দলটি বিরোধীর মর্যাদা পায়।
রাজ্যটিতে সফর নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা একমাত্র রাজ্য যেখানে কংগ্রেস বিজেপিকে সমর্থন করে; বিজেপি কংগ্রেসকে সমর্থন করে। আমি মুকুল সাংমাকে ধন্যবাদ দেব যে, তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন; তৃণমূল কংগ্রেসকে বেছে নিয়েছেন।
‘আমার অনুরোধ, বিজেপিকে ওদের পথ দেখিয়ে দিন। সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে সেই পূর্ব দিক থেকেই।’
মেঘালয়ের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে সরাতে জোরোশোরে মাঠে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বারবার মেঘালয় ছুটে গেছেন।
এক মাস আগে মেঘালয়ে তৃণমূল কার্যালয় উদ্বোধন করেন অভিষেক। দলটি রাজ্যে সদস্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে।
আগামী নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর মেঘালয়ের পশ্চিম গারো পাহাড়ের আদিবাসী ভোট। তৃণমূলসহ দলগুলোর নজর সে ভোটারদের দিকে।
তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিকে সামনাসামনি টক্কর দিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মেঘালয় সফরে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। তাদের সঙ্গ দেবেন তৃণমূলের মেঘালয় রাজ্য সভাপতি চার্লস পাইনগ্রোপে এবং মেঘালয় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভাষ্য, মমতার তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা। তাই এখন থেকেই রাজ্যে রাজ্যে কোমর বেঁধে নেমেছে দলটি।